কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কদের কর্মসূচি ঘিরে গত বুধবার উত্তপ্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর। অভিযোগ, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনীকেন্দ্রে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর গাড়িতে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ‘বাধা’ পেয়ে মিছিল না করেই ফিরতে হয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে। এ বার সেই বারুইপুরেই সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি! মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।
বিজেপির দাবি, আগামী ২৭ মার্চ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বারুইপুরে প্রতিবাদসভা করতে চায় তারা। কিন্তু পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে তা দিতে অস্বীকার করেছে তারা। পুলিশি অনুমতি মিলছে না, এই অভিযোগ তুলেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুভেন্দুর অভিযোগ, বিধানসভায় অধিবেশনে তাঁকে বলতে দেওয়া হয় না। প্রতি পদে পদে বাধা দেন স্পিকার। শুধু তাঁকে একা নয়, বিরোধী দলের কোনও বিধায়ককেই বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন কথা বলতে দেন না তিনি। এমন অভিযোগ তুলে গত বুধবার স্পিকারেরই বিধানসভা কেন্দ্রে মিছিল, সভা করার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি ছিল, বিধানসভায় স্পিকার বিরোধী দলের বিধায়কদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করেন, তা বারুইপুরের মানুষের সামনে তুলে ধরবেন। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, গত বুধবার বিধানসভা থেকে বিকেল ৪টে নাগাদ শুভেন্দু-সহ অন্য বিধায়কেরা বারুইপুরে পৌঁছোন।
বিজেপির সভার দিন পাল্টা তৃণমূলও ওই এলাকায় সভার আয়োজন করেছিল। শুভেন্দুর যাত্রাপথে শিবানীপীঠের কাছে এবং পুরনো বাজারে মঞ্চ বেঁধে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা রাস্তার দুই ধারে জড়ো হয়েছিলেন। সভায় যোগ দিতে আসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় বচসা বাধে তৃণমূলের। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান চলতে থাকে। শুভেন্দু এলাকায় ঢুকতেই কালো পতাকা দেখানো হয়। বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ এবং ‘চোর, চোর’ স্লোগান ওঠে। এ সবের জেরে তুলকালামের মধ্যে বিজেপির মিছিল বাতিল হয়ে যায়। অভিযোগ, সেই সময়ই শুভেন্দুর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ বার সেই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামতে চায় বিজেপি।