প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটের আগে ক্ষমতায় যাওয়ার আশা ছিল। কিন্তু ভোটে পরাজয়ের ফলে সে আশা পূরণ হয়নি। লোকজনের ভিড়ও কমে এসেছে। বাড়তি জায়গার প্রয়োজনও ফুরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হেস্টিংসের কার্যালয়ের তিনটি তলা ছেড়ে দিল বিজেপি। ওই বাড়ির চার, পাঁচ, সাত, আট এবং নয় তলায় কার্যালয় খুলেছিল তারা। কিছু দিন অগে চার এবং সাত তলা ছেড়ে দিয়েছে দল। আট তলা ছেড়ে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবার।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘ভোটে হেরে যাওয়ার জন্য হেস্টিংসের কার্যালয় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। ওটা আমাদের নির্বাচনী কার্যালয় ছিল। ভোটের পরে ছেড়ে দেওয়া হবে, এই চুক্তিতেই নেওয়া হয়েছিল। তবে সবটা ছাড়া হচ্ছে না। পাঁচ এবং নয় তলার কার্যালয় থাকছে। কারণ, মুরলীধর সেন লেনে আমাদের রাজ্য দফতরে জায়গার অভাব।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে হেস্টিংস এলাকার ওই বাড়ির ন’তলা নিয়ে ভোটের কাজ করেছিল দল। তার পরবর্তী সময়ে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সেখানে আরও চারটি তলা নেওয়া হয়। সেখানে বৈঠক করার বড় হলঘরের পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ অনেক নেতার ঘর হয়। এমনকি, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েই সেখানে ঘর পান। দলের রাজ্য দফতর এবং হেস্টিংসের কার্যালয়—দু’জায়গাতেই তখন বিপুল ভিড় থাকত। বস্তত, রাজ্য দফতরে অনেক মানুষের বসার জায়গা নেই বলেই হেস্টিংসের বিরাট বাড়িটি নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটের পরে ধীরে ধীরে দুই জায়গাতেই ভিড় কমে আসে। অন্য রাজ্য থেকে আসা নেতারা ফিরে যাওয়ায় তাঁদের থাকা এবং কার্যালয়ের জন্য এখন আর ঘরের প্রয়োজন নেই। বিজেপি সূত্রের খবর, ইদানীং রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিতাভ ছাড়া আর কেউ হেস্টিংসের কার্যালয়ে বিশেষ বসতেন না। সব মিলিয়ে হেস্টিংসের অত বড় জায়গা আর রাখার দরকার বোধ করছে না বিজেপি।
তবে মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দফতরেও তারা সন্তুষ্ট নয়। বহু পুরনো দিনের ওই ভাড়া বাড়িতে স্থানাভাব ছাড়াও আর নানা সমস্যা রয়েছে। তাই অনেক দিন ধরেই কলকাতার কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাজ্য দফতর করতে বাড়ি কেনার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।