প্রতীকী ছবি।
রামনবমীকে রাজনীতির মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার পর এ বার জন্মাষ্টমীকে হাতিয়ার করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এ বার ২৩ অগস্ট থেকে তিন দিন ধরে রাজ্য জুড়ে জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করবে তারা। গত বছর রাজ্যের প্রায় ৭০০ জায়গায় তারা ওই উৎসব উদ্যাপন করেছিল। এ বার সেই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করে ১৫০০-য় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে পরিষদ। তাদের বক্তব্য, ওই অনুষ্ঠানগুলি থেকে রাজ্য সরকারের একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ‘তোষণ করার নীতি’র বিরুদ্ধে এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) প্রয়োজনীয়তার পক্ষে বার্তা দেওয়া হবে। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের নেতারা নিজের নিজের এলাকায় ব্যক্তিগত ভাবে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ অবশ্য শুক্রবার দাবি করেন, ‘‘জন্মাষ্টমী একটি ধার্মিক অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক— এই সব দলের নেতাদেরও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাব।’’ কিন্তু একই সঙ্গে শচীন্দ্রনাথবাবু জানান, জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে এনআরসি-র পক্ষে প্রচার থেকে শুরু করে হিন্দু সমাজের ‘স্বার্থরক্ষা’র নানা বিষয় তুলে ধরা হবে।
এ বিষয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জন্মাষ্টমী উৎসব আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু বাংলার সমাজ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ওদের ধারণা এতই কম যে, এরা সব কিছুকেই নতুন করে চালানোর চেষ্টা করছে। তবে চিন্তার বিষয় যে, এই ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে ওরা রাজনীতি যুক্ত করছে। এটার সঙ্গে বাঙালি পরিচিত নয়।’’