প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের পরে উত্তরাখণ্ড। প্রশাসনিক সাফল্যের প্রচারে রাজনৈতিক তঞ্চকতার অভিযোগ উঠল আরও একটি বিজেপি-শাসিত রাজ্যের বিরুদ্ধে। এবং দু’টি ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস-শাসিত পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরাসরি টুকলিবাজির কালি!
উত্তরপ্রদেশে ভোটের মুখে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের সাফল্য প্রচারে কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুলের ছবি আত্মসাতের অভিযোগকে ঘিরে সম্প্রতি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। পুষ্কর সিংহ ধামীর রাজ্য উত্তরাখণ্ডের ‘সাফল্য’ হিসেবে এ বার একই ভাবে বাংলার অণ্ডাল বা দুর্গাপুর বিমানবন্দরের ছবি দেখিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। যোগী-রাজ্যে দেখানো হয়েছিল, মা উড়ালপুল উত্তরপ্রদেশে। এ বার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের একটি টুইটে দেখা যাচ্ছে, অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরটাই উত্তরাখণ্ডে!
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের টুইটে কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের ছবি দিয়ে নীচে লেখা হয়েছে: দুর্গাপুর বিমানবন্দর, উত্তরাখণ্ড। একই টুইটে দুর্গাপুর বিমানবন্দরের ছবির উপরে লেখা: কম খরচে আঞ্চলিক রুটে এই ধরনের বিমানবন্দর এক দিকে যেমন পর্যটনকে আরও বেশি করে উৎসাহিত করবে, তেমনই কর্মসংস্থানও হবে।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের ওই টুইটকে বিঁধতে দেরি করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বঙ্গে শাসক দলের মুখপাত্র সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যার রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উত্তরপ্রদেশের বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা আগেও ধরা পড়েছে। উত্তরাখণ্ডের এই বিজ্ঞাপনও মোটা দাগের মিথ্যাচারের রাজনীতি।’’
রাজনৈতিক শিবিরের পর্যবেক্ষণ, এই সব ক্ষেত্রে তোলপাড়ের পরে ‘আমলাতান্ত্রিক ভুল’ বলে দেগে দিয়ে বিতর্কে জল ঢালার চেষ্টা হয়। কিন্তু কেন বার বার একই ধরনের ‘ভুল’ হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তার থেকেও বড় প্রশ্ন, যে-বঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্র তথা সেখানকার শাসক দল বিজেপির হাজারো অভিযোগ, সেই বাংলা থেকেই উন্নয়নের দৃষ্টান্ত আত্মসাতের এমন মরিয়া চেষ্টা কেন?