হাওড়ায় বিজেপির কর্মসূচিতে কুশপুত্তলিকা দাহ হল মন্ত্রী অখিল গিরির। ফাইল চিত্র।
কারামন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। সেই মন্তব্যের জেরে অখিলের পাশে নেই তাঁর দল তৃণমূল। বিবৃতি দিয়ে তা স্পষ্টও করে দিয়েছে শাসকদল। এ বার সেই মন্তব্যের জেরে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে রামনগরের বিধায়কের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চান বিজেপির আদিবাসী বিধায়করা। শনিবার তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপি তফসিলি মোর্চার সভাপতি তথা হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু।
বিধানসভায় বিজেপির ৭০ জন বিধায়কের মধ্যে আট জন আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তাঁদের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। জুয়েল বলেছেন, ‘‘আমরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আমরা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের হলেও, আমাদের সম্মান রয়েছে। সেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের রমণী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বিরোধী দলনেতার কাছে আবেদন জানাব, যাতে আগামী বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে অখিল গিরির বিরুদ্ধে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়।’’ প্রসঙ্গত, বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গাও আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তিনিও দলীয় বিধায়কদের নিন্দাপ্রস্তাব আনার বিষয়টি সমর্থন করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে পরিষদীয় দলে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানাতে চান। মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘‘অখিলবাবু যে ভাষায় রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন, তাতে দেশ তাঁর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুদার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।’’
উল্লেখ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাষ্ট্রপতির অপমান প্রসঙ্গে ক্ষোভপ্রকাশ করে টুইট করেছেন। বিরোধী দলনেতার বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামেই ওই মন্তব্য করে মন্ত্রী অখিল। তৃণমূলের টুইট করে অবস্থান জানানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই টুইট করে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধানের প্রতি ‘সংশোধন অযোগ্য’ বেলাগাম নিকৃষ্টমানের মন্তব্য করেন যিনি, উনিই আবার নাকি রাজ্যের সংশোধনাগার মন্ত্রী। লজ্জাজনক!’’