সন্দেশখালির গ্রামে মিলল গুলির খোল। নিজস্ব চিত্র
হাওড়ার শিবপুরের পরে এ বার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি।
তৃণমূল এবং বিজেপির বোমা-গুলির লড়াইয়ে রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির রাজবাড়ি এলাকা। জখম হন দু’পক্ষের ১৩ জন। স্থানীয় সূত্রের খবর, জমিজমা নিয়ে পুরনো বিবাদ থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। যার এক পক্ষে আছেন বিজেপি সমর্থক, অন্য পক্ষে তৃণমূল। রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক সমীকরণ মেনেই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগে। ঠিক যেমন, আগের জমানায় সংঘর্ষ বাধত সিপিএম-তৃণমূলের।
পুলিশ জানায়, লতিকা নস্কর নামে রাজবাড়ির এক মহিলার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিবাদ ছিল কিছু লোকের। যার জেরে শনিবার তাঁকে কয়েক জন কটূক্তি করে বলে অভিযোগ। লতিকাদেবী জুতো খুলে এক জনের গালে মারেন। পাল্টা মারধরে গুরুতর জখমও হন।
লতিকা বিজেপি সমর্থক। মারধরে অভিযুক্তেরা তৃণমূল শিবিরের। লতিকাকে মারধরের প্রতিবাদে রবিবার রাজবাড়িতে দোকানপাট বন্ধ করে পথ অবরোধ হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, কোনও দলের পতাকা ছিল না। বিজেপির অভিযোগ, কাছেই পুলিশ ফাঁড়ি। ওই এলাকাতেই সকাল ৯টা নাগাদ তৃণমূলের লোকজন গুলি ছুড়তে ছুড়তে আসে। মারপিট বাধে। বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের মারধর করে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুন: রক্ত সঙ্কটে কলকাতারও ভরসা কাঁথি
অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বিজেপির উপরেই। ক’দিন আগে মালঞ্চে সভা করে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর উস্কানিমূলক কথাবার্তার জন্যই এলাকা উত্তপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ জ্যোতিপ্রিয়বাবুর। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-ই প্রথম হামলা করে। কিন্তু একতরফা মারধর তো চলতে পারে না। আমাদের ছেলেরাও রুখে দাঁড়িয়েছে।’’
অন্য দিকে, দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের সাজাহান আর তার দলবলই গুলি চালিয়েছে। দু’জনের বুকে গুলি লেগেছে।’’