ভোট নিশানায় মুকুল-কৈলাস

শনিবার করিমপুরে মহিষবাথান বাজার বিবাদী ক্লাবের সামনে ‘গাঁধী সঙ্কল্প যাত্রা’ উপলক্ষে পথসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। মুকুল ছাড়াও ছিলেন দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনিও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই। তাঁর মতে, ‘‘এ রাজ্যে নৈরাজ্যের সরকার চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 করিমপুর  শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৩
Share:

কৈলাস ও মুকুল। নিজস্ব চিত্র

করিমপুর বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নানা রকম আশ্বাসের কথা শুনিয়ে গেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। যার মধ্যে মোদ্দা কথা হল, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ‘অনুপ্রবেশকারী’ ছাড়া কারও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যদিও দেশে আর কোথাও এনআরসি বলবৎ হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই। তার বদলে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) চালু হলে বিষয়টি কী দাঁড়াবে, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

শনিবার করিমপুরে মহিষবাথান বাজার বিবাদী ক্লাবের সামনে ‘গাঁধী সঙ্কল্প যাত্রা’ উপলক্ষে পথসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। মুকুল ছাড়াও ছিলেন দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনিও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই। তাঁর মতে, ‘‘এ রাজ্যে নৈরাজ্যের সরকার চলছে। গত লোকসভা নির্বাচন থেকে এপর্যন্ত বিজেপির বহু কর্মী খুন হলেও সরকারের কোনও হেলদোল নেই। গাঁধীজির মতো অহিংস পথেই তার জবাব দিতে হবে সাধারণ মানুষকে।’’

করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগরের সাংসদ হয়ে যাওয়ায় এই আসনে উপ-নির্বাচন আসন্ন হয়ে উঠেছে। সম্ভবত সেই কথা মাথায় রেখেই মুকুল দাবি করেন, “আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর হয়ে বহরমপুরের রেলপথ নিয়ে সমীক্ষা করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিলাম। বিজেপি যদি এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসে, এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই রেলপথ স্থাপনের জোরালো দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পেশ করব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement