সাংবাদিক সম্মেলনে নয়া আন্দোলনের ঘোষণা দিলীপ ঘোষের (মাঝখানে)। সঙ্গে রয়েছেন সায়ন্তন বসু (বাঁ দিকে) ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
করোনার প্রকোপ এবং আমপানের তাণ্ডবে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে বিপর্যস্ত অবস্থার মাঝেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। বুধবার রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে ‘চার্জশিট’ প্রকাশ করলেন দিলীপ ঘোষরা। বাংলা জুড়ে ‘আর নয় মমতা’ আন্দোলন শুরু করার কথাও ঘোষণা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারকে হারিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। তৃণমূল সরকারের ৯ বছর পূর্তিতে ৯টি বিষয়ে অভিযোগ তোলার চেষ্টা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার মধ্যে করোনা ও স্বাস্থ্য সঙ্কট, আমপান মোকাবিলায় ব্যর্থতা, আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়া, বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা ও শিল্পের আকাল, শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মতো অভিযোগ রয়েছে। বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃষকবিরোধী এবং হিন্দু ও শরণার্থী বিরোধী বলেও তোপ দেগেছেন দিলীপ। সরব হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপবাবু ছাড়াও ছিলেন রাজ্য বিজেপির পাঁচ সাধারণ সম্পাদক— সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় সিংহ ও রথীন্দ্র বসু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণাও করেছেন দিলীপবাবু। কেন্দ্র রাজ্যের পাওনা টাকা মেটাচ্ছে না, একাধিক বার এমন অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করতে গিয়ে পাল্টা রাজ্যের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, আগের ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণে বরাদ্দ টাকার হিসেব দেয়নি। তাই পরবর্তী দফার টাকা আর চাইতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ডাঙা ডুবেই, জোয়ারে এখনও এক মানুষ জল কোথাও কোথাও
আরও পড়ুন: মুরগি ২৫০, পাঁঠা ৮০০, মাছেরও দাম চড়ছে, বাজারে আমপান-তাণ্ডব
এ ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমপান ও করোনার ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন দিলীপবাবু। রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘করোনার মতো সঙ্কটের মাঝেও রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।’’ রেশনে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ডাল দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্য। তার জবাবে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন ৬ কোটি মানুষ ডাল পেয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলছেন, কেন্দ্র ডাল পাঠায়নি। তা হলে কোনটা সত্যি?’’