বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের প্রতিবাদ। — নিজস্ব চিত্র।
চা বাগান নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনল বিজেপি। বুধবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে বিজেপির পরিষদীয় দলের তরফে সেই প্রস্তাব পেশ করেন বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় না দেওয়ায় স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে বিজেপির পরিষদীয় দল।
বিজেপির অভিযোগ, চা বাগান বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছেন মালিকেরা। ফলে কাজ হারাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। এ নিয়ে বুধবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। যদিও তা নিয়ে আলোচনার কোনও সময় বরাদ্দ করা হয়নি।
বিজেপির মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গার দাবি, উত্তরবঙ্গের মোট ১১টি চা বাগান বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার চা বাগান খুলতে সচেষ্ট হলেও, রাজ্য সরকার উদাসীন। তাই চা বাগান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছে থাকলেও কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর আরও দাবি, নির্মলা সীতারমন বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন উত্তরবঙ্গের ডানকানের চা বাগানগুলি কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করার উদ্যোগ নিলেও, রাজ্য সরকারের উস্কানিতে সংস্থাটি আদালতে চলে যায়। ফলে অধিগ্রহণ থমকে যায়।
সদ্যই সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেখানে চা বাগানকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার বিষয়ে একাধিক ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ‘টি-ট্যুরিজম’ গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, চা বাগান বন্ধ হওয়া, শ্রমিকদের মজুরি, সামাজিক সুরক্ষার সমস্যা নতুন নয়। বাম আমলেও উত্তরবঙ্গে বছরের পর বছর ইস্যু ছিল চা বাগান। যদিও বর্তমান সরকারের দাবি, সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। রুগ্ন চা বাগানগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ভূমিকা নিয়েছে সরকার। নানাবিধ সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন তাঁরা।