ফর্ম জমা দিয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য —প্রতীকী চিত্র।
দলের রাজ্য সভাপতি নিজে কটাক্ষ করছেন। অথচ ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র লাইনে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য থেকে উপপ্রধানের স্ত্রীও।
ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের খুদমরাই পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। সোমবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হয়েছে স্থানীয় ছোড়দা হাইস্কুলে। সেখানেই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’ আবেদন করেছেন পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য চায়না প্রতিহার, তাঁর শাশুড়ি সীতা ও জা সীমা প্রতিহার। ফর্ম জমা দিয়েছেন উপপ্রধান দয়ানিধি মাহাতোর স্ত্রী নমিতা মাহাতোও।
ক’দিন আগেই মেদিনীপুরে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘৫০০ টাকার জন্য সবাইকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।’’ অথচ বিজেপিরই লোকজন দিলীপের নিজের জেলায় ওই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ায় তৃণমূল পাল্টা বিঁধছে। অনেকে দিলীপের ভাইয়ের পরিবারের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করানোর কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন। খুদমরাই অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অর্ঘ্যরতন পাহাড়ি বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় এই প্রকল্প যে কতটা জনমুখী সেটা বিজেপি সদস্যদের আবেদনই তা প্রমাণ করে দিয়েছে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবনাথ হাঁসদার পরামর্শ, ‘‘এর পর বিজেপির নেতা-কর্মীরা সমালোচনার আগে একটু ভেবে দেখবেন!’’
কেন এই আবেদন? চায়নার স্পষ্ট ব্যাখ্যা, ‘‘আমার স্বামী চাষবাস ও গৃহশিক্ষকতা করেন। যোগ্য বলেই আমি, জা ও শাশুড়ি আবেদন করেছি।’’ পঞ্চায়েতের প্রধান খুকুমণি হেমব্রমের যুক্তি, ‘‘রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্প সকলের জন্য। তাই চায়না-সহ আমাদের দলের লোকজনও আবেদন করেছেন। আমিও যদি যোগ্য হই, তা হলে পরবর্তী শিবিরে আবেদন করব।’’ বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষেরও মত, ‘‘রাজ্যের প্রকল্পের আওতায় সব রাজ্যবাসী আছেন। আমরাও তো বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কেন্দ্রীয় প্রকল্প। তৃণমূলের লোকজনও তো তাতে বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু তা বলি না।’’