BJP

পরিবর্তন যাত্রার মধ্যেই বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ধূপগুড়িতে

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৫৮
Share:

মৃত বিজেপি নেতা সঞ্জয় রায়। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি-র পরিবর্তন যাত্রার রথ ধূপগুড়িতে পৌঁছনোর আগেই উদ্ধার হল দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার জেরে বুধবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার এই এলাকায়।

Advertisement

বুধবার ভোরে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় রায়ের ঝুলন্ত দেহ দেহ উদ্ধার। তিনি ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিরঞ্জনপাট এলাকার ১৫/১১৫ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ব্যাক্তি হিসাবে তিনি এলাকায় তিনি জনপ্রিয় ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে ভোরে বাড়ির সামনের ঠাকুরঘরের দরজা খোলা দেখা যায়। ভিতরে সঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাড়ির সদস্যেরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে প্রথমে ধূপগুড়ি হাসপাতাল এবং পরে ধূপগুড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। মৃত সঞ্জয়ের বাড়িতে মা, স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে।

Advertisement

পঞ্চায়েত সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। সঞ্জয়কে খুন করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।

এ বিষয়ে বিজেপি-র ধূপগুড়ি বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক কমলেশ রায় বলেন, ‘‘সকালেই মৃত্যুর খবর পেলাম। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে সঞ্জয় খুব জনপ্রিয় ছিলেন। প্রত্যেকের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ছিল। তাঁর হঠাৎ করে এ ভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে। তবে কোনও ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া যায়নি। আমরা পরিবারটির পাশে আছি।’’

সঞ্জয়ের আত্মীয় পুলক রায় বলেন, ‘‘সকালে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। এত ভালো ছেলের এরকম মৃত্যু বিশ্বাস হচ্ছে না। বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্য হলেও এলাকায় সব দলের সঙ্গেই সদ্ভাব ছিল সঞ্জয়ের। মঙ্গলবারও কথা হয়েছিল। বাড়িতে সবকিছু স্বাভাবিক ছিল।’’

বুধবার দুপুরে সঞ্জয়ের বাড়িতে গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেন জেলা পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা এবং ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা। ঘটনার ভিডিওগ্ৰাফি করা হচ্ছে তদন্তের স্বার্থে। বিক্রমজিৎ বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement