—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষ্ণচন্দ্রপুরের বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই শিলি হালদারের স্বামী বাপি হালদার এ বার ওই জেলার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। সোমবার বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান অনুপ কুমার মিস্ত্রির আইনজীবী বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলে তা মঞ্জুর হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে।
কোর্টে অনুপের আর্জি, মামলার তদন্তভার সিবিআই ও ইডিকে দেওয়া হোক। তাঁর অভিযোগ, শিলি একই জায়গায় বার বার কাজের নিদর্শন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ব্যাপারে জেলাশাসক, এসডিও, বিডিও-কে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকেও জানান তিনি। অভিযোগ, তার পর থেকেই হুমকি আসছে। সূত্রের খবর, এক সময়ে মথুরাপুর-১ ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ছিলেন বাপিই। ২০১৮-তে ওই পঞ্চায়েতটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় শিলিকে পঞ্চায়েতের প্রধান করা হয়। উল্লেখ্য, স্ত্রী প্রধান হলেও বকলমে তিনিই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম সামলাতেন। ২০২৩-এ বিজেপি-র নেতৃত্বে পঞ্চায়েত গঠিত হয়। তারপর থেকেই শিলির কাজের খতিয়ানের উপরে নজরদারি শুরু। তাঁর সময়কালে ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, ৩৮-৪০টি কংক্রিটের রাস্তা ও নিকাশি নালা তৈরির টাকা তুলে নিলেও কোনও কাজ হয়নি। সোমবার অনুপ বলেন, “প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি দেখে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ বাপির পাল্টা দাবি, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কোনও দুর্নীতি হয়নি।”