বীজপুর থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। —নিজস্ব চিত্র
হালিশহরে বিজেপিকর্মী সৈকত ভাওয়ালকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল বীজপুর থানা চত্বরে। থানার সামনে দীর্ঘ ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বিজেপিকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে বিজেপিকর্মীদের শান্ত করেন। চলছে রাজনৈতিক চাপানউতরও। অন্য দিকে, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার হালিশহরে গৃহ সম্পর্ক অভিযানের সময় খুন হন স্থানীয় বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল। তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও রাজ্যের শাসকদলের দাবি, বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন হয়েছেন সৈকত। অন্য দিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ তৃণমূল কর্মী সুদীপ্ত ঘোষ ওরফে রাইডার বাবাই, সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে কেলে সোমনাথ এবং সুমন সাহা ওরফে লাছাকে গ্রেফতার করেছে বীজপুর থানা।বিজেপি-র দাবি, খুনের সঙ্গে জড়িত আরও অনেকে। তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার বীজপুর থানার সামনে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। থানা চত্বরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বিক্ষোভ তুলতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেন পুলিশকর্মীরা। তাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: হালিশহরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
থানা ঘেরাওয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায়। মুকুল রায়ের ছেলে অভিযোগ, ‘‘রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে। পুলিশ সক্রিয় থাকলে রাজ্যে এত খুন হত না।’’ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, ‘‘নব্য তৃণমূল বনাম পুরনো বিজেপির মধ্যে গন্ডগোল। তার জেরেই এই খুন।’’