Saumitra Khan

‘তৃণমূলের মুখে বড় বড় কথা মানায় না’! চোপড়া ও কোচবিহার প্রসঙ্গ টেনে লোকসভায় সরব সৌমিত্র

সৌমিত্রের কিছু মন্তব্য ঘিরে সম্প্রতি অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। সৌমিত্র আবার তৃণমূলের পথে কি না, এ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। মঙ্গলবার সেই জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে দিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫৭
Share:

লোকসভায় বলছেন সৌমিত্র খাঁ। —সংসদ টিভি।

লোকসভা আধিবেশনে বক্তৃতা করতে উঠে মঙ্গলবার বিজেপির দিকে তির্যক বাণ ছোড়েন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বক্তৃতায় কোচবিহার এবং চোপড়ার ঘটনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বাংলায় তৃণমূল শাসনের দিকে আঙুল তুললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র বলেন, ‘‘তৃণমূল মহিলাদের সম্মানের কথা বলছে! ওদের মুখে এ কথা মানায় না। কোচবিহারে তৃণমূলের লোকজন এক জন মহিলাকে রাস্তায় নগ্ন করে ঘুরিয়েছে। চোপড়ায় এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে তৃণমূলের নেতা। এরা আবার বড় বড় কথা বলছে!’’

Advertisement

কোচবিহারে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন অগ্নিমিত্রা পাল-সহ রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দল। দেখা করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিও। কোচবিহারের ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যে গত রবিবার চোপড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা যায়, এক যুগলকে রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছেন এক যুবক। পরে জানা যায়, যিনি পেটাচ্ছেন, তিনি স্থানীয় বিধায়ক হামিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ। নাম তাজিমুল হক। জেসিবি নামেই এলাকায় পরিচিত। জেসিবিকে রবিবারেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চোপড়ার ঘটনা নিয়ে সোমবারও সংসদ তোলপাড় হয়েছিল। মঙ্গলবার চোপড়ার সঙ্গেই কোচবিহারের প্রসঙ্গও তুললেন সৌমিত্র। তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন। শ্রীরামপুরের সাংসদের বক্তব্য ছিল, ‘‘নির্বাচন কমিশন অনেক সময়ে বিজেপি নেতাদের কথায় কাজ করেছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, সাত, আট বা দশ হাজারের মতো অল্প ভোটে যে সব আসন বিজেপি জিতেছে, সেগুলি সম্ভব হয়েছে নির্বাচন কমিশনের বদান্যতায়। পাল্টা সৌমিত্র বলেন, ‘‘কল্যাণদা নির্বাচন কমিশনের কথা বলছেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল বলে তবু বাংলায় লোকসভা ভোট হয়েছে। আর রাজ্য নির্বাচন কমিশন তো পঞ্চায়েত, পুরসভা ভোট করতেই দেয় না।’’ গণতান্ত্রিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার মেনে রাজ্য সরকার বিরোধী দলের সাংসদ, বিধায়কদের ডাকে না বলেও অভিযোগ করেছেন সৌমিত্র। ঘটনাচক্রে এই সৌমিত্রের কিছু মন্তব্য ঘিরেই সম্প্রতি খানিক অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল তাঁর দলকে। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর কখনও অভিষেকের প্রশংসা, কখনও নিজের দলের প্রকাশ্য সমালোচনা করেন তিনি। সৌমিত্র বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলের পথে কি না, এ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল কোনও কোনও মহলে। তবে সংসদে মঙ্গলবারের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেই জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement