বাবুল সুপ্রিয়।
রাজনীতি ছেড়ে দিতে পারেন বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ সম্পর্কে এমন সম্ভাবনার কথা আগেই লিখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেই খবর সত্য প্রমাণ করে শনিবার ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে জানালেন তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। বিজেপি তো ছাড়ছেনই সেই সঙ্গে তিনি যে অন্য কোনও দলে যোগ দিতে চান না তাও লিখেছেন বাবুল।
গায়ক বাবুল রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার সময়েও গানের আশ্রয় নিয়েছেন। দীর্ঘ পোস্টের সঙ্গে দিয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গান ‘এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে বললাম, চললাম...।’
লেখার শেষেই শুধু নয় পোস্টের গোড়াতেও বাবুল লিখেছেন, ‘চললাম..., অলবিদা...।’ এই সিদ্ধান্ত তিনি কী ভাবে নিয়েছেন তা জানিয়ে বাবুল লিখেছেন, ‘অন্য কোনও দলেও যাচ্ছি না। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম কোথাও নয়।’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে কেউ ডাকেওনি।
সম্প্রতি তিনি কিছু মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। মন্ত্রিত্ব হারানোর পরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্বও তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে বাবুল লিখেছেন, 'বেশ কিছু সময়ে তো থাকলাম। কিছু মন রাখলাম, কিছু ভাঙলাম। কোথাও আপনাদের হয়তো আমার কাজে খুশি করলাম, কোথাও নিরাশ, হতাশ করলাম। মূল্যায়ন আপনারাই নয় করবেন।’
রাজনীতির বাইরে থাকলেও আগামী দিনে তিনি যে সমাজসেবা মূলক কাজে যুক্ত থাকতে চান সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘সমাজসেবা করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়। নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই আগে তারপর।’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কিছুদিন থেকেই রাজনীতি ছাড়ার কথা বলছিলেন তিনি। লিখেছেন, ‘বিগত কয়েকদিনে বার বার মাননীয় অমিত শাহ ও মাননীয় নাড্ডাজির কাছে রাজনীতি ছাড়ার সঙ্কল্প নিয়ে গিয়েছি এবং আমি ওঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ যে প্রতিবারই ওঁরা আমাকে নানা ভাবে অনুপ্রাণিত করে ফিরিয়ে দিয়েছেন।’
কেন তিনি ফেসবুকে লিখে রাজনীতি ছাড়লেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বাবুল। শাহ, নড্ডার কাছে তিনি যেতে চান না জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি তাঁদের এই ভালবাসা কোনও দিন ভুলবো না আর তাই আবার তাঁদের কাছে গিয়ে সেই একই কথা বলার ধৃষ্টতা আর আমি দেখাতে পারবো না। বিশেষ করে 'আমার আমি' কি করতে চাই তা যখন আমি অনেকদিন আগেই ঠিক করে ফেলেছি। কাজেই আবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে গেলে কোথাও না কোথাও তাঁরা ভাবতেই পারেন যে আমি কোনো 'পদের' জন্য 'দরাদরি' করছি| আর তা যখন একেবারেই সত্য নয়, তখন একেবারেই চাই না যে তাঁদের মনের ঈশান কোণেও সেই 'সন্দেহের' উদ্রেক হোক। এক মুহূর্তের জন্য হলেও।’