প্রতীকী ছবি।
বিধানসভায় মারামারির ঘটনার জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিলম্বিত (সাসপেন্ডেড) পাঁচ বিধায়কের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে এ বার আদালতের দ্বারস্থ হল বিজেপি। বিরোধী দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই বিষয়ে বিধানসভার স্পিকারের হলফনামা চেয়েছেন। স্পিকারকে হলফনামা দিতে হবে আগামী ২ মে-র মধ্যে। তার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিধায়কেরা হলফনামা দিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানাবেন। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৫ মে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য হাই কোর্টের নির্দেশ না দেখে মন্তব্য করতে চাননি।
বগটুই-কাণ্ড নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব গ্রহণ করে আলোচনা চেয়েছিল বিরোধী দল। স্পিকার সেই দাবি না মানায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। সেই বিক্ষোভের জেরেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপির বিধায়কেরা। মারের চোটে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটেছিল বলে শাসক দলের অভিযোগ। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হয়ে পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন বিরোধী দলের সচেতক মনোজ টিগ্গা, অধিবেশন কক্ষে মারধর, হেনস্থা করা হয়েছিল বিধায়ক নরহরি মাহাতো, চন্দনা বাউড়িদের। বাজেট অধিবেশনে ওই ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, মনোজ, নরহরি, শঙ্কর ঘোষ ও দীপক বর্মণ— বিজেপির এই পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। নিলম্বিত অবস্থায় তাঁদের বিধানসভায় ঢোকার ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে, ভাতাও বন্ধ। বিধানসভার বাজেট অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি করা হয়েছে, অধিবেশনের সমাপ্তি (পরিভাষায় ‘প্রোরগ’) ঘোষণা হয়নি। ফলে, ওই বিধায়কদের অনির্দিষ্ট কাল নিলম্বিত হয়ে থাকতে হবে। আদালতে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা-সহ বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের এই ভাবে অনির্দিষ্ট কাল নিলম্বিত করে রাখা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ ইঙ্গিত নয়।