বিধানসভায় বিক্ষোভরত শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়কেরা। — নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ১০ জন বিজেপি বিধায়ক। তাঁরা এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন। আবেদন মঞ্জুর করে মামলার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সোমবার দুপুর ১টায় এই মামলার শুনানি হবে।
বিজেপির ১১ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ জমা পড়েছিল স্পিকারের কাছে। স্পিকার তা কলকাতা পুলিশকে পাঠিয়ে দেন। এর পরেই বিজেপি বিধায়কদের নোটিস ধরায় লালবাজার। আগামী ৫ ডিসেম্বর তাঁদের হাজিরাও দিতে বলা হয়েছে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে। তার আগে সোমবারই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে গেল বিজেপি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকে বিধানসভায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। বুধবার সেখানে হাজির ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে বিধানসভার অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা। ওই একই সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। তুলছিলেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। তৃণমূল বিধায়কেরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়েও বিজেপি শিবির থেকে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তোলেন। পরে বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, উপমুখ্যসচেতক তাপস রায় ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্পিকারের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই ১২ জনের তালিকায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের নামও ছিল। পরে সেই নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে আট জনকে লালবাজারে ডাকা হয়েছে। তাঁরা হলেন শঙ্কর ঘোষ, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মন, নিলাদ্রী শেখর দানা, বঙ্কিম ঘোষ, মিহির গোস্বামী এবং শিখা চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হাজিরার আগেই তাঁরা হাই কোর্টে গেলেন।