ফাইল চিত্র।
বিজেপির বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। কিন্তু অনুপস্থিত দলের তিন বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, সুব্রত ঠাকুর, বিশ্বজিৎ দাস, স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। শনিবার এই ঘটনায় বিজেপির অন্দরে-বাইরে জোরদার হয়েছে জল্পনা। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিধানসভা ভোটের পর বনগাঁয় সাংগঠনিক বৈঠকে এসেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেও ওই তিন বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। সাম্প্রতিক কালে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কার্যকারিণী বৈঠক এবং আন্দোলন কর্মসূচিতেও তাঁদের দেখা মেলেনি।
গজেন্দ্র বনগাঁ লোকসভায় বিজেপির বিশেষ পর্যবেক্ষক। তাঁর বৈঠকে দলীয় বিধায়ক এবং নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন, ‘‘সকলকে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কাজ থাকায় আসতে পারেননি।’’ অন্য দিকে, অশোক বলেন, ‘‘দলীয় কর্মীদের নিয়ে দিঘায় বেড়াতে এসেছি।’’ সুব্রতর দাবি, তাঁকে বৈঠকের কথা জানিয়ে কেউ ফোন করেননি। আর বিশ্বজিতের যুক্তি, ‘‘শুক্রবার বিজেপি কর্মী ঋষভ অধিকারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। আমি শোকাহত। বিজেপির নেতারা কেউ তাঁকে দেখতে যাননি।’’ দেবদাস ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি, বিজেপির একটি
সূত্রের খবর, জেলা সভাপতি মনস্পতির সঙ্গে সাংসদ শান্তনুর দল পরিচালনা নিয়ে মতান্তর চলছে। শান্তনুর অনুগামীরা জেলা সভাপতি পদে বদল চাইছেন।