অর্জুন সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
লকডাউনের মধ্যে হাজার দু’য়েক লোক জড়ো করে মিছিলের তোড়জোড় করছিল বিজেপি। হঠাৎ পর পর তিনটে বোমা ফাটে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় লোকজন। পরে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিট বাধে। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল বানচাল করতে তৃণমূলই বোমাবাজি করেছে, মারধর পাকিয়েছে। সে কথা মানেননি তৃণমূল। তাদের দাবি, নিজেরাই বোমাবাজি করে নাটক করছে বিজেপি।
শনিবার ঘটনাস্থল, ভাটপাড়ার শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়। তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যামের অভিযোগ, “ভাটপাড়ার মানুষ অর্জুন সিংহের সঙ্গে নেই। নিজেরা বোমাবাজি করে নাটক করছে ওরা।’’ লকডাউন ভেঙে এত লোক জড়ো করায় বিজেপির সমালোচনা করেন সোমনাথ।
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ পাল্টা বলেন, ‘‘তৃণমূল লকডাউনে মিছিল করলে আমরাও পাল্টা মিছিল করব।’’
দিন কয়েক আগে তৃণমূলের এক যুব নেতা ভাটপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হন। তার পর থেকে ফের উত্তেজনা ছড়াচ্ছে শিল্পাঞ্চলে। ঘটনার পর দিন তৃণমূল ভাটপাড়া আর্যসমাজ মোড়ে একটি মিছিল করে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিএসপি অজয় ঠাকুর বলেন, “বোমা পড়ার ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। তৃণমূলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে তারা একটা ছোট মিছিল করেছিল। সেই মিছিলও আটকে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপিকেও এ দিন মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন: আধাসেনার বাধা, অর্জুনের ছেলে ও সিআইএসএফের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের
এ দিন বোমাবাজির পরে তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মীদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। সে কথা মানেনি তৃণমূল। সোমনাথ বলেন, ‘‘ওরাই রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষকে পিটিয়েছে।”
বোমাবাজি, মারধরের অভিযোগ তুলে বিকেলে নৈহাটি, বাসুদেবপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে
বিজেপি। মেঘনা জুটমিল থেকে মিছিল শুরু হয়। ভাটপাড়া থানার আগের মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। সেখানেই মিছিল শেষ করে পথসভা করে বিজেপি। ক’দিন আগে একটি দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে অর্জুনের বাড়িতে তাঁর এক আত্মীয়ের খোঁজে গিয়েছিল পুলিশ। এ দিন মিছিলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র সে প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল লড়তে পারছে না বলে পুলিশকে সামনে রাখছে।’’ এ দিন ডেবরায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘একজন সাংসদেরও সুরক্ষা, সম্মান নেই। বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। দরজায় দাঁড়িয়ে আছে দুষ্কৃতীরা।’’