বেজায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে ভোট কেন?
দিলীপ ঘোষের পরে শুভেন্দু অধিকারীও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। দেশের মধ্যে শুধু ওই একটি কেন্দ্রেই কেন উপনির্বাচন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘কমিশন প্রভাবিত’ বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বললেন, ‘‘বিজেপি-র কথায় চলে না নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এটাই তৃণমূল বরাবর বলে এসেছে। আমরা কখনও উল্টোটা বলিনি যে, তৃণমূলের কথায় চলে কমিশন। কী এমন কারণে শুধু ভবানীপুরে উপনির্বাচন করতে হবে তার উত্তর কমিশনই দিতে পারবে।’’
শনিবারই কমিশন ঘোষণা করেছে ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন হবে। ফল ঘোষণা ৩ অক্টোবর। পুজোর আগে উপনির্বাচন পর্ব মিটিয়ে ফেলার দাবি তুলেছিল তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জয়ী মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২১ মে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দাবি তুলতে শুরু করে তৃণমূল। এ নিয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন। দিল্লিতে কমিশন দফতরে দু’বার গিয়েছে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। অন্য দিকে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কারণে উপনির্বাচন এখনই দরকার নেই বলে দাবি তুলেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আটটি কারণ দেখিয়ে কেন বাংলায় উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই তা জানায় রাজ্য বিজেপি।
কিন্তু সেই সব আপত্তি কার্যকর না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপি। কমিশনের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব স্বাগত জানালেও উল্টো সুরে আক্রমণ দিলীপ, শুভেন্দুদের। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং তৃণমূলকেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে না জিতলে রাজ্যে সঙ্কট তৈরি হতে পারে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এমন নয় যে রাজ্যে ১৪৮টি আসন নেই তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও মুখ্যসচিব এমন লিখেছেন।’’ এর পাশাপাশি তৃণমূলকে লক্ষ্য করে শুভেন্দুর বক্তব্য, ২১৩ আসনে জয় পেলেও দ্বিতীয় কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অবস্থায় নেই তৃণমূল। তাঁর কথায়, ‘‘আমার কথাই ঠিক। তৃণমূল একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।’’