রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ থাকলে এফআইআর দায়ের করা যাবে। সে ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। গত বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশই দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু। এ নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
জনৈক সুমন সিংহের দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলায় গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন। তাতে জানানো হয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে আইনানুগ পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। ওই দুই বিচারপতি আরও জানান, অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হলে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে পারবে। তবে গ্রেফতার বা কড়া পদক্ষেপ করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। চার সপ্তাহ পরে আবার ওই মামলার শুনানি। হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন শুভেন্দু। বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। আগামী ৪ অগস্ট ওই মামলার শুনানি রয়েছে।
হাই কোর্টের নির্দেশের পরই অবশ্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। গত ২৫ জুলাই প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর থানায়। পঞ্চায়েত ভোটের দিন মোহনপুর থানার রামপুরা এলাকায় ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘটনায় নন্দীগ্রামের বিধায়কের প্ররোচনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ভোটের আগে বিভিন্ন সভা থেকে শাসকদলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। তাঁকে বলতে শোনা যায়— পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়ম দেখলে ভোটবাক্স জলে ফেলে দিন। পরেও তিনি বলেছেন, ‘‘আমি তো বলে দিয়েছিলাম, যেখানে যেখানে ছাপ্পা ভোট হবে, সেখানে ব্যালট বাক্স নিয়ে পুকুরে ফেলে দেবে!’’