বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। —ফাইল চিত্র ।
সন্দেশখালি যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে যেতে পারবেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তবে তাঁর সঙ্গে কোনও সমর্থক বা দলীয় কর্মী সন্দেশখালিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিরোধী দলনেতাকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়ে এমনটাই জানাল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত জানিয়েছে, শুভেন্দু এবং শঙ্কর সন্দেশখালি যেতে পারবেন। তবে কোনও ভাবেই তাঁদের সঙ্গে কোনও সমর্থক বা দলীয় কর্মী যাতে সন্দেশখালি যেতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। এলাকায় যেন কোনও শান্তিভঙ্গ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশকে।
সোমবার, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকেও শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেন হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এর পর মঙ্গলবার সকালেই সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন, শঙ্কর, অগ্নিমিত্রা-সহ বিজেপির ছয় বিধায়ক তবে সন্দেশখালি প্রবেশের আগেই ধামাখালি এলাকায় শুভেন্দুদের আটকে দেয় পুলিশ। আটকানো হয় সিপিএমের পলিটব্যুরো নেত্রী বৃন্দা কারাটকেও। প্রশাসনের যুক্তি ছিল, নতুন করে ১২ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই তাঁদের সন্দেশখালি ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এর পর সেখানেই বসে পড়েন শুভেন্দু এবং বিজেপির প্রতিনিধি দল। শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ধামাখালিতেই ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করবেন। তার পর গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি চন্দের দ্বারস্থ হবেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘হাই কোর্টের নির্দেশকেও মানছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সরকার ভয় পেয়েছে।’’
এর মধ্যেই বিচারপতি চন্দের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে শুভেন্দু এবং শঙ্করকে সন্দেশখালি যাওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।