ব্যারিকেডের সামনে শুভেন্দু-লকেট। পরে আটক। নিজস্ব চিত্র।
নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের বাধায় পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সামনে পুলিশের ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক জোড়েন তিনি। অভিযোগ করেন, মহিলা অফিসাররা তাঁকে ঘিরে রেখেছেন। দীর্ঘ ক্ষণ তর্কাতর্কির পর ব্যারিকেডে ধাক্কা দিতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি অভিযোগ করেন, মহিলা অফিসাররা তাঁকে ঘিরে রেখেছেন। দীর্ঘ ক্ষণ তর্কাতর্কির পর ব্যারিকেডে ধাক্কা দিতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পর ‘ভয় পেয়েছে মমতা, বুঝে গেছে জনতা’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায় হায়’ বলে স্লোগান তোলেন তিনি। পাশে যোগ দেন লকেট। শেষে শুভেন্দু, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহকে পিটিএসের সামনে থেকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। সাঁতরাগাছি হয়ে নবান্ন যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে গেল তাঁদের।
মঙ্গলবার দলের নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে বেহালার বাড়ি থেকে সকালে বেরোন শুভেন্দু। জেমল লং সরণি, তারাতলা হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যান তিনি। সাঁতরাগাছি হয়ে নবান্ন যেতে চান তিনি। কিন্তু পিটিএসের কাছে শুভেন্দু, লকেট, রাহুলদের আটকায় পুলিশ। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, মহিলা অফিসারদের দিয়ে তাঁকে আটকানো হচ্ছে। তিনি বলতে থাকেন, ‘‘ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর অ্যান উইম্যান অ্যান্ড আই অ্যাম মেল (আপনি মহিলা এবং আমি পুরুষ)।’’
অন্য দিকে, পুলিশের তরফে বলা হয়, পুলিশের কোনও মহিলা-পুরুষ ভাগ নেই। কিন্তু শুভেন্দু বলতে থাকেন, ‘‘আমার গায়ে হাত দেবে কেন?’’ এই ভাবে বেশ কিছু ক্ষণ তর্কাতর্কি চলে। শুভেন্দু জানান, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়া হোক। তিনি লোকাল ট্রেনে যাবেন। যদিও তার পরও সেখান থেকে তাঁকে এগোতে দেওয়া হয়নি।
কিছু ক্ষণ পর শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন তিনি হাই কোর্টে মামলা করবেন। পাশে ছিলেন লকেট এবং রাহুল। শুভেন্দু নিজেই বলেন, ‘‘আমাকে গ্রেফতার করুন।’’ এর পর তিন জনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। ফলত, সাঁতরাগাছি হয়ে নবান্নে যাওয়া হচ্ছে না শুভেন্দুর।