সুদীপ অসত্য বলছেন, দাবি সুকান্তের। ফাইল চিত্র
রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে প্রথম থেকেই দাবি করেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গিয়েও সে কথা বলে আসে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পরে তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, শাহও এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন যে বগটুই-কাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। শুক্রবার সুদীপের সেই দাবিকে ‘অসত্য’ বলে মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, তদন্ত হওয়ার আগে এই ধরণের মন্তব্য করার মানুষই নন অমিত।
বৃহস্পতিবার সুদীপের নেতৃত্বে সংসদ ভবনে অমিতের দফতরে যান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, শতাব্দী রায়, মহুয়া মৈত্র ও মৌসম বেনজির নুর। সেখানে সুদীপরা জানান, রাজ্য সরকার বগটুই-কাণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ করলেও প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরির অভিযোগও জানান সুদীপরা। রাজ্যপালের অপসারণের দাবি জানানোর পরে তৃণমূল প্রতিনিধিরা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, অমিত সব রকম ভাবে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সুদীপ বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানিয়েছি যে এই ঘটনায় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। জানিয়েছি, ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সিট তৈরি হয়েছে। আমরা বলেছি, এটা ওখানকার পারিবারিক, গ্রাম্য বিবাদ। রাজনীতি নেই। তিনি সব রকম ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই। তবে ঘটনা অত্যন্ত নৃশংস।”
বগটুই-কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল যে দাবি করে আসছে তাতেই অমিত সায় দিয়েছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। তবে সুকান্তের দাবি, এমনটা বলতেই পারেন না অমিত। সুকান্ত বলেন, ‘‘অমিত শাহ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। তদন্ত হওয়ার আগেই কোনও ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করার মানুষ নন তিনি। এটা মিথ্যা রটানো হচ্ছে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশনের পিছনেও তৃণমূলের রাজনীতি রয়েছে বলে দাবি করেন সুকান্ত।