সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘প্রতি দিন খুন-ধর্ষণ না হলে বোঝাই যায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চলছে! রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রোজ রোজ কোথাও না কোথাও খুন-জখম বা ধর্ষণ চলছে। এটা বাংলার মানুষের কাছে লজ্জার বিষয় হয়ে উঠেছে।’’
রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবিকে অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে জোড়া খুন এবং নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য বিজেপি। দুই জায়গাতেই প্রতিনিধি দল পাঠাতে চায় গেরুয়া শিবির। রবিবার সেই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘প্রতি দিন খুন-ধর্ষণ না হলে বোঝাই যায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চলছে! রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রোজ রোজ কোথাও না কোথাও খুন-জখম বা ধর্ষণ চলছে। এটা বাংলার মানুষের কাছে লজ্জার বিষয় হয়ে উঠেছে।’’ সুকান্তের দাবিকে অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, প্রতিটিই বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার মগরাহাটের মাগুরপুকুর পোল এলাকা থেকে বরুণ চক্রবর্তী (৩৫) এবং মলয় মাখাল (৩১) নামে দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ জানে আলম অ্যান্ড কোম্পানির একটি সংস্থার ঘর থেকে উদ্ধার হয়। রবিবার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এরই কাছাকাছি সময়ে এক নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। অত্যধিক রক্তপাতে ওই নাবালিকার মৃত্যুও হয়। এই দুই ঘটনাতেই রাজ্যস্তরের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আজ রামনবমীর জন্য সব নেতাই ব্যস্ত রয়েছেন। সোমবারই দুই জায়গায় প্রতিনিধি দল যাবে। হাঁসখালির ঘটনায় আজই স্থানীয় নেতারা গিয়েছেন। মহিলা মোর্চার একটি প্রতিনিধি দলও যাবে।’’
সুকান্তের এই বক্তব্য শোনার পরে আক্রমণাত্মক তৃণমূল। দলের পক্ষে কুণাল বলেন, ‘‘ওঁরা উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকান। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যাবে বাংলা কত নিরাপদ। বিজেপি শাসিত রাজ্যের তুলনায় বাংলা অনেক ভাল রয়েছে। এটা ঠিক যে, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে সব ক্ষেত্রেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’