বৈঠক হবে মঙ্গলবার। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাক পেলেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। আগামী মঙ্গলবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে যেতে বলা হয়েছে সকলকে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংসদদের মুখ থেকে শুনতে চান প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তের গতি নিয়ে অনেকের মধ্যেই নানা অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে বুথ স্তরে বিজেপি কেমন শক্তি বাড়াতে পেরেছে, রাজ্যে দলীয় কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। এমনই পরিস্থিতিতে মোদী তলব করেছেন সব সাংসদকে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত বলেন, ‘‘মোদীজি আমাদের অভিভাবক। তিনি কোনও পরামর্শ দিলে সেটা আমাদের কাছে নির্দেশ। আমার সর্বশক্তি দিয়ে সেটা পালন করি। এ বারও এই কৌতূহল নিয়ে যাব যে তিনি কোন পথনির্দেশ করেন।’’
সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পরেই রয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদিও পঞ্চায়েতের থেকে লোকসভা ভোট নিয়েই বেশি চিন্তিত। তৃতীয়বার মোদীর নেতৃত্বে সরকার গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই বাংলায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ করেছে দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বাছাই লোকসভা এলাকার দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মোদীকে মুখ করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সর্বাত্মক প্রচারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করে দিয়েছেন কেমন ভাবে বুথ স্তরের সংগঠন সাজাতে হবে। মোদীর সঙ্গে বৈঠকে এই সব বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, এই বিষয়গুলি মূলত দেখেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। তবে কী নিয়ে কথা বলবেন মোদী?
বিজেপি সাংসদরা অতীতের বৈঠকের উদাহরণ টেনে বলছেন, এই ধরনের বৈঠকে মোদী সাধারণত সার্বিক ভাবে সাংসদদের কর্তব্য নিয়ে কথা বলেন। নিজের নিজের এলাকায় সংগঠন বিস্তারে কী ভাবে কাজ করতে হবে সেটা যেমন বলেন তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন প্রকল্প নিয়ে সাধারণের কাছে যেতে হবে, কী ভাবে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে সেই বিষয়ে দিকনির্দেশ করেন। মঙ্গলবারের বৈঠকেও সেই আলোচনাই মুখ্য হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলার কোন এলাকার জন্য কী কী করা দরকার সে সব খোঁজ নিতে পারেন। একই সঙ্গে শুনতে পারেন সাংসদদের দাবিদাওয়া।