বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
বিজেপির অভ্যন্তরে ‘দ্বন্দ্ব’ কিছুতেই মিটছে না। এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ মন্তব্য শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। ওএমআর সিট কেলেঙ্কারি নিয়ে সোমবার তিনি বলেন, “হয়ত এমন কোনও নেতার নাম আসবে যিনি দু’বছর আগে অন্য কোথাও ছিলেন, এখন আমাদের দলে এসেছেন। তখন অন্য দলে ছিলেন, অন্য ব্যবস্থা ছিল।” কারোর নাম না করলেও এই মুহূর্তে বিজেপির অন্যতম শীর্ষ পদে থাকা এক নেতা যিনি ঘটনা চক্রে বছর দুই আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, তাঁর দিকেই দিলীপের ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নলহাটিতে মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝা। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ও নলহাটি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান। এই দলবদল নিয়েও মুখ খুলেছেন দিলীপ। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে তো সারা বছর যোগদান লেগেই থাকে। কে কেন যোগদান করেছেন বলতে পারব না। যাঁরা যোগদান করিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চই খোঁজ খবর নিয়েছেন। এখন তো তৃণমূল থেকে এলেই সন্দেহ হয়, জানি না কোন কালি লেগে আছে।”
দিলীপের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাদের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়া ভালভাবে নেননি তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। এমনকি দলবদলু নেতারা দলে অতিরিক্ত গুরুত্ব পাচ্ছেন বলেও মনে করছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির একদা সাধারণ সম্পাদক তথা দিলীপ ঘনিষ্ঠ সায়ন্তন বসু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডাকে একটি চিঠি লেখেন। তাতেও তৃণমূল থেকে আসা নেতারা দলকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
পাশাপাশি দিলীপ এ-ও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কী করল, সিবিআই কী করল এই দেখে আমি দিলীপ ঘোষ রাজনীতি করিনা।”