নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে মৃত্যু হয়েছে সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র। তাতে আগেই রাজনীতির গন্ধ পেয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। কী ঘটেছিল, এ বার তার বর্ণনা দিলেন দিলীপ ঘোষ। দলীয় সমাবেশে দাঁড়িয়ে দিলীপের সেই মন্তব্য আবার বিতর্ক উসকে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই মুখে কুলুপ আঁটতে বলে দিলীপকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে সেই নির্দেশকে দিলীপ যে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তা স্পষ্ট।
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার গ্রেফতারি ও প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে দুপুর চারটের সময় তেহট্টের জিতপুর মোড়ে জনসভায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অমিত শাহজি অনেক আগেই আমাকে বলেছিলেন, বাংলায় এলে মরতে হবে। কাকতালীয় ভাবে সেটাই সত্যি হল। অন্ধকূপে হত্যার মতো বদ্ধ অডিটরিয়ামে আটকে কেকে-কে মেরে ফেলা হয়েছে।’’ দিলীপের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই জনসভায় হাজির থাকার কথা থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দিল্লির নেতৃত্ব যে তাঁকে ‘সেন্সর’ করেছে, তা নিয়ে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে, তাঁর সটান জবাব, ‘‘এখনও আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। কই, কেউ তো বাধা দেয়নি!’’