Dilip Ghosh

Dilip Ghosh-Babul Supriyo: ‘বাবুলকে বলেছিলাম, এটা বিজেপি, এখানে ও সব চলবে না! শিল্পীরা রাজনীতিতে ফিট নন’

পর পর দু’বার আসানসোল থেকে জেতেন এবং মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা পান বাবুল। সেই সময়ে বার বার দিলীপ-বাবুল ‘সু-সম্পর্ক’ প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ১২:৫৯
Share:

বাবুল সুপ্রিয় এবং দিলীপ ঘোষ।

শিল্পীরা রাজনীতিতে এসে মানিয়ে নিতে পারেন না বলেই মনে করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে থাকার সময়ের সমস্যা প্রসঙ্গে কথা বললেও দিলীপের তির অবশ্য সব শিল্পীর দিকেই।

Advertisement

শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ ‘অ-জানাকথা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘রাজনীতিতে খুব একটা ফিট হন না শিল্পীরা। প্রত্যেককে নিয়েই সমস্যা আছে। আর এটা থাকবেই। কারণ, তাঁরা এক অন্য ধরনের জীবনযাপন করেন। নিজেদের ভগবানের পর্যায়ে নিয়ে যান। সবাই কাছে পেলে হই হই করে। ভাবেন আমি খুব জনপ্রিয়। রাজনীতিতে এসে দলের কর্মীদের সঙ্গেও তাঁরা সেই ধরনের ব্যবহার করেন যেটা সাধারণ মানুষের সঙ্গে করেন। দলের রীতি-নীতি, শৃঙ্খলা মানার অভ্যাস থাকে না। শুধু অভ্যাস নয়, ইচ্ছাও থাকে না।’’

বিজেপিতে যোগ দিয়েই সাংসদ ও মন্ত্রী হন বাবুল। পর পর দু’বার আসানসোল থেকে জেতেন এবং জায়গা পান নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায়। সেই দীর্ঘ সময়ে বার বার দিলীপ-বাবুল ‘সু-সম্পর্ক’ খবরের শিরোনাম হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অনেকেই বলতেন, দু’জনের মধ্যে নাকি ‘অহি-নকুল’ সম্পর্ক। বিভিন্ন বিষয়ে মতান্তর হত। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রিয়ভাজন হিসাবে পরিচিত শিল্পী বাবুল এবং মেঠো দিলীপের মতান্তর নিয়ে বিভিন্ন সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। শনিবার দিলীপ অবশ্য বলেন, ‘‘বাবুলদার সঙ্গে আমার ঝামেলা কিছু ছিল না। বাবুলদা এক জন শিল্পী। তখনও বলতাম, এখনও বলেছি। তবে রাজনীতিতে খুব একটা ফিট হন না শিল্পীরা।’’ তবে বাবুল বিজেপিতে থাকার সময়ে তিনি যে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতেন সেটাও বলেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কড়া ভাবে বলেছি। এখানে চলবে না। এটা বিজেপি। এটা দিলীপ ঘোষ চালায়। চোখে চোখ রেখে বলেছি। সবাইকে বলতাম।’’

Advertisement

এখন আর দিলীপের বিজেপিতে নেই বাবুল। ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা বাবুল এখন তৃণমূলের বিধায়ক। তবে দলবদলের আগে সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দিলীপ। জনপ্রতিনিধিরা দলবদল করলে পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘আমি তো তখনই তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম।’’ একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তবে মন্ত্রিত্ব গিয়েছে বলে দল ছেড়ে চলে যাবেন এটা কোনও দিন ভাবিনি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement