Arjun Singh

Arjun Singh: পদ্মে অর্জুন-অস্বস্তি বাড়ছেই, চট-বিক্ষোভে পীযূষের পরে তির জুট কমিশনারের দিকে

বাংলার পাটশিল্পের দুরবস্থা নিয়ে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ চোখ বন্ধ করে আছেন বলে সোমবার অভিযোগ তোলেন অর্জুন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২ ২১:৩৭
Share:

ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। ফাইল চিত্র।

সোমবার কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। আর মঙ্গলবার তাঁর ক্ষোভ জুট কমিশনারের বিরুদ্ধে। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য বলার অভিযোগ তুললেন কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টুইট করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন অর্জুন। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, গত বছরের নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে জুট কমিশনের দু’টি বৈঠক হয়। ২৬ নভেম্বর এবং ৬ ডিসেম্বর। অর্জুনের বক্তব্য, জুট কমিশনার দাবি করলেও রাজ্যের তরফে ওই বৈঠকে কুইন্টাল প্রতি পাটের দাম ছ’হাজার টাকা করার প্রতিশ্রুতি আদৌ মেনে নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তোলার পাশাপাশি রাজ্যের পাটশিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে কি না দেখার জন্য সত্যানুসন্ধান কমিটি তৈরি প্রয়োজন বলেও দাবি করেছেন অর্জুন।

বাংলার পাটচাষি ও চটকল কর্মীদের দুরবস্থা নিয়ে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ চোখ বন্ধ করে আছেন বলে সোমবার অভিযোগ তোলেন অর্জুন। তাঁর বক্তব্য ছিল, কাঁচা পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত না বদলালে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনেও নামতে পারেন তিনি। দল তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের মতো পদক্ষেপ করলেও তিনি তার তোয়াক্কা করছেন না বলেও দাবি করেন। বলেন, “যদি মানুষই আমার সঙ্গে না থাকেন, তা হলে কীসের দল? আজ আমি যেটুকু যা হয়েছি, মানুষের জন্য হয়েছি। নিজেও চটকলের শ্রমিক ছিলাম। আজ তাঁদের সঙ্গে বেইমানি করতে পারব না। ফলে দাবি না মানলে ছেড়ে কথা বলব না।”

Advertisement

সদ্যই বিজেপি-র সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। এর পরে অর্জুনও কি পা বাড়িয়ে রয়েছেন। সোমবারই এমন প্রশ্ন তৈরি হয়। মঙ্গলবার সেই প্রশ্নকে যেন আরও উস্কে দিলেন ২০০১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা তৃণমূলের বিধায়ক অর্জুন। রাজ্যের অন্যতম পাটশিল্প প্রধান এলাকার সাংসদ অর্জুন সোমবার বলেন, “মন্ত্রীকে বোঝালেও উনি কিছুই বুঝতে চাইছেন না। যদি কথা না শোনা হয়, জুট কমিশনারকে ঘেরাও থেকে যন্তরমন্তরে ধর্না, অবস্থান, সবই করব। প্রায় দু’কোটি মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।” আর মঙ্গলবার দাবি করলেন, বস্ত্রমন্ত্রী এবং জুট কমিশনার কী ভাবে বাংলার পাটশিল্পকে ধ্বংস করতে চাইছেন সেই সত্যানুসন্ধানের জন্য একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি তৈরি করা হোক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement