গ্রাফিক:- সনৎ সিংহ।
তিনি মুকুল রায়ের পুত্র। উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। গত বিধানসভা নির্বাচনে বীজপুর থেকেই বিজেপির টিকিটে লড়াই করে এখন আবার তৃণমূলে। সেই শুভ্রাংশু রায়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলল বিজেপি। একই সঙ্গে অভিযোগ তোলা হয়েছে রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, ২০১৩ সালে তৃণমূলের বিধায়ক থাকার সময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে একটি তালিকা পাঠিয়েছিলেন শুভ্রাংশু। ৯২ জনের নাম ও রোল নম্বরের ওই তালিকার নীচে শুভ্রাংশুর সই ও বিধায়কের সিলমোহর ছিল।
একই অভিযোগ অখিল এবং বলাগড়ের তৎকালীন বিধায়ক অসীমকুমার মাঝির বিরুদ্ধে। এই দু’জন ২০১৩ সালে নিজেদের লেটার হেডেই রোল নম্বর-সহ নামের তালিকা পাঠিয়ে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির। মঙ্গলবার দলের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এই তালিকাগুলি প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, ‘‘আমরা বার বার বলে এসেছি যে, এসএসসি-র নিয়োগে বড় রকমের দুর্নীতি হয়েছে। মেধাতালিকাকে গুরুত্ব না দিয়ে বেছে বেছে তৃণমূলকর্মীরা চাকরি পেয়েছেন। এখন আদালতও এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে। আগামী দিনে সিবিআই তদন্ত হলে এই তিনটি তালিকা বড় প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।’’
এই অভিযোগ সম্পর্কে শুভ্রাংশুর এবং অসীমের মতামত জানতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। যদিও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি। মন্ত্রী অখিল বলেন, ‘‘এমন কোনও সুপারিশের কথা আমার মনে পড়ছে না।’’ বিজেপির তরফ থেকে এই তিনটি তালিকার কথা বলা হলেও সুকান্তের দাবি, তাঁরা সত্যতা যাচাই করেননি। সুকান্ত বলেন, ‘‘আমরা চাই, এই তালিকা সত্য কি না তা যাচাই করতে তদন্ত হোক র সত্যতা প্রমাণিত হলে দোষীরা সাজা পান।’’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বিকাশ ভবন অভিযান করে বিজেপি যুব মোর্চা। সুকান্ত ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতে গেলে জলকামান চালায় পুলিশ।