(বাঁ দিকে) অমিত শাহ। শুভেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে, রাজ্যে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘন ঘন যাতায়াত বাড়ছে। এই পর্যায়ে আবার বাংলায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সব ঠিকঠাক চললে জানুয়ারি মাসের ২৮-২৯ তারিখে দু’দিনের সফরে কলকাতায় আসবেন তিনি।
এই সফরে মূলত দু’টি কর্মসূচি করবেন অমিত। ২৮ তারিখ কলকাতায় রাজ্য নেতাদের নিয়েই একটি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষের মতো নেতাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলেই জানা গিয়েছে। লোকসভা ভোটে যাতে দল এককাট্টা হয়ে লড়াই করে, সেই বার্তা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য নেতৃত্বকে দিতে শুরু করেছেন। শাহ ওইদিনের বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে খোঁজখবর নেবেন বলেই বিজেপি সূত্রে খবর।
পরদিন ২৯ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদাতে কর্মিসভায় অংশ নেবেন শাহ। এই জেলা থেকেই নির্বাচিত হয়ে বিজেপির তরফে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন শুভেন্দু। তাই এই কর্মিসভায় নজর রয়েছে রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের। কারণ এই জেলার দু’টি লোকসভার আসনের সাংসদ যথাক্রমে শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। বর্তমানে দু’জনেই তৃণমূলের প্রতীকে সাংসদ হলেও, দলের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব অনেকটাই। শুভেন্দু তৃণমূলে যোগদানের পর পিতা শিশির ও ভাই দিব্যেন্দুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটের সময় এগরার জনসভায় আবার শিশির হাজির হয়েছিলেন শাহের জনসভার মঞ্চে। তাই লোকসভার স্পিকারের কাছে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। তবে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়নি দিব্যেন্দুকে। তাই সেই জেলায় সভা হওয়ার কারণে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নেতৃত্বকে ৩৫টি আসন জেলার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন শাহ। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারাও যে কোমর বাঁধতে শুরু করেছেন, সেই বার্তা স্পষ্ট করতে ইতিমধ্যে প্রতি সপ্তাহেই পালা করে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আসছেন বিজেপি নেতারা। ২৪ নভেম্বর ধর্মতলায় জনসভা করতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার ঠিক দু’মাস পর আবারও বাংলায় পদার্পণ করছেন তিনি।