প্রতীকী ছবি
স্লোগানে উঠে এল জল সংরক্ষণ থেকে শুরু করে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মতো অনেক বিষয়। অথচ, বাদ পড়ে গেল জাতীয় নাগরিক গঞ্জি বা এনআরসি প্রসঙ্গই! মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার শহরে বিজেপির এমন গাঁধী সংকল্প পদযাত্রার পর গুঞ্জন শুরু হল দলের অন্দরেই। বিরোধীদের কটাক্ষ, আসলে চাপে পড়ে গিয়েই এনআরসি নিয়ে এখন সুর নরম করছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ বিজেপি নেতারা।
লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্চ মাসের শেষে আলিপুরদুয়ারে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি। ওই সভা থেকেই বাংলায় এনআরসি চালু নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এনআরসি নিয়ে কার্যত দলের সুরও স্থানীয় নেতাদের কাছে বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অমিতের ওই সভার সাত মাসের মধ্যে সেই আলিপুরদুয়ার শহরেই বিজেপির গাঁধী সংকল্প পদযাত্রার স্লোগান থেকে ‘উধাও’ এনআরসি প্রসঙ্গ। শুধুমাত্র পদযাত্রার মাঝে একটি পথসভায় বিজেপির দুই নেতা এনআরসি প্রসঙ্গ মুখে আনলেও তাও যথেষ্ট দায়সারা ছিল বলেই নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিযোগ।
তৃণমূলের নেতা মোহন শর্মা বলেন, ‘‘ওরা যতই চিৎকার করুক না কেন, বাংলায় কোনওদিন এনআরসি হবে না।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, ‘‘গাঁধী সংকল্প পদযাত্রার গোটাটা জুড়েই এনআরসি প্রসঙ্গ ছিল। আমরা এনআরসি নিয়ে দলের ভাবনা মানুষকে জানিয়েছি।’’