mukul roy

Narada: শুভেন্দু, মুকুলের ক্ষেত্রে কী হবে? আপাতত বিজেপি-র তরফে সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘তদন্ত যেমন এগোবে’

সোমবার সকালে প্রথম দিকে বিজেপি-র তরফে কোনও নেতাই মুখ খুলতে রাজি হননি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ প্রতিক্রিয়া দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২১ ১১:২৫
Share:

শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।

সোমবার সকালে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়ি ঘিরে ফেলে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পরে নিজাম প্যালেসে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কামরাহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। সেই সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ঘটনাচক্রে, যিনি তৃমমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটে ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিলেন।

Advertisement

ওই চার জনের গ্রেফতারির পরেই তৃণমূল দাবি তুলেছে, যে মামলায় সিবিআই তাদের দলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে, সেই মামলায় অভিযুক্ত দুই বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ও। তাঁদেরও কেন গ্রেফতার করা হবে না! প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপি-র প্রায় কোনও নেতাই এর জবাব দিতে চাননি। তবে একান্ত আলোচনায় তাঁরা বলছেন, তদন্ত এগোচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী সিবিআই যখন যাকে দরকার মনে করবে গ্রেফতার করবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।

সোমবার সকালে প্রথম দিকে বিজেপি-র তরফে ওই গ্রেফতারি নিয়ে কোনও নেতাই মুখ খুলতে রাজি হননি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হলে তবু বিজেপি-র দিকে আঙুল তোলা যেত। এখন আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী যাকে গ্রেফতার করা দরকার, তাকে গ্রেফতার করেছে। আমাদের কিছু বলার নেই।’’ শুভেন্দু-মুকুল সম্পর্কে যে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল, সেই প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘এটা সিবিআই-এর বিষয়। এর মধ্যে বিজেপি নেই।’’ যদি ওই দুই নেতার বিরুদ্ধেও সিবিআই পদক্ষেপ করে, তখনও কি একই কথা বলবে বিজেপি? প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, "কোনও যদি নিয়ে আমি উত্তর দেব না। তদন্ত চলছে। তদন্ত যেমন এগোবে, সিবিআই তেমন করবে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক তথা বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে নিভৃতবাসে। তাঁর স্ত্রী-ও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে। মুকুলের সঙ্গে সোমবার যোগাযোগ করা যায়নি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপি সোমবারের এই গ্রেফতারির মধ্যে ‘প্রতিহিংসার অভিযোগ’ মানতে নারাজ। রাহুল বলেন, “নির্বাচনের পরে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি তৃণমূল দেখাচ্ছে, তার পরে ওদের মুখে আর এই অভিযোগ মানায় না।”

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি-র এক নেতা বলেন, ‘‘আমরা যতদূর জানি, নারদ মামলায় মুকুলের হাতে করে টাকা নেওয়ার কোনও ফুটেজ নেই।’’ তবে শুভেন্দুর বিষয়ে ওই নেতা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement