—ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটে ২০০ আসন জিতে বিজেপির সরকার গড়া এখন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দু’মাস আগে বাঁকুড়ায় এসে দলীয় নেতৃত্বের সামনে ন্যূনতম ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সেই লক্ষ্য ভেদও করবে দল। তার পর থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা-সহ দলের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্ব বার বার দাবি করছেন, এ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে অন্তত ২০০ আসন জিতবেন তাঁরা। বুধবার বিকেলে ডোমজুড় থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত রোড শো করেন দিলীপবাবু, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, সাংসদ অর্জুন সিংহ প্রমুখ। রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংহকে এ দিনই ইডি গ্রেফতার করেছে ইডি। সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাওড়ার রোড শো-য়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘রোজই তৃণমূলের কেউ না কেউ গ্রেফতার হচ্ছেন বা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর বিজেপি প্রতি দিন ২০০ আসনের দিকে এগোচ্ছে। সাধারণ মানুষ সঙ্গে আছেন। শুধু ফাইনাল ম্যাচ বাকি।’’
এ দিন খড়দহের রুইয়ায় চা চক্রে দিলীপবাবুর দাবি, বিজেপিতে যোগদানের জন্য লাইন পড়ে গেছে। তাঁরা সকলকেই নিচ্ছেন। চাইলে অন্য দলের ৫০ বিধায়ককে এখনই হাজির করতে পারেন। তবে দল ভাঙিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাঁরা বাছবিচার করছেন কি না, সে বিষয়ে দু’বার দু’রকম বলেন দিলীপবাবু। এক বার বলেন, ‘‘আমরা মন বড় করেছি। দলকে বড় করতে হবে। যাঁরা আসছেন, তাঁদের না বলতে পারব না। সকলকে নেব। যোগ্যতা অনুযায়ী স্থানও পাবেন। বাছাবাছি সময়ে হয়ে যাবে। সময়ে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’ আবার তাঁরই মন্তব্য, ‘‘ভোটের আগে আরও অনেকে যোগ দেবেন। লাইন পড়ে গেছে। তালিকা এসে গেছে আমার হাতে। আমরা একটু বাছাবাছি করছি। সময় নিচ্ছি।’’
তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, ভোটের আগেই বিজেপির সাত সাংসদ তৃণমূলে যোগ দেবেন। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আপনি এক জন বুথ সভাপতিকে আমাদের দল থেকে আপনার দলে যোগদান করিয়ে দেখান। তা হলে মানব। আপনি চাইলে সামনের মাসে ৫০ বিধায়ককে যোগদান করাব।’’
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’ যজ্ঞে ২২০ আসন প্রার্থনা করলেন বীরভূমের কেষ্ট
আরও পড়ুন: বঙ্গে ভোট এপ্রিলে? ন্যূনতম ভুল হলেই শাস্তি, বার্তা জৈনের
সারদা এবং নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত মুকুল, শুভেন্দু অধিকারী এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘এ সব সিবিআই-ইডি দেখবে। কেউ বিজেপিতে আসতে চাইলে আমরা কাউকে আটকাতে পারি না। তবে আইনের বিষয় থাকলে আইনে বিচার হবে। কিন্তু যে প্রসঙ্গে মুকুল রায়, শোভনবাবুর দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে, সেই একই আঙুল দিদির দিকেও উঠতে পারে। সে কথা বলার হিম্মৎ আছে?’’ তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁদের নিয়েছেন, এখন বুঝতে পারছেন, তাঁরা সম্পদ নাকি বোঝা। একটা রাজনৈতিক দলের প্রধান প্রতিনিয়ত এমন কথা বললে সন্দেহ হয়, তাঁর মাথা ঠিক আছে কি না। দিলীপবাবু বরং মাথার চিকিৎসা করান।’’