গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে রাজ্য বিজেপি-র চার বড় মুখই শুক্রবার হাজির ছিলেন নন্দীগ্রামে। চার নেতা উপস্থিত থাকলেও সমাবেশ সে ভাবে জমল না। ইট-পাটকেল এবং ‘চোর’ স্লোগানে কার্যত দক্ষযজ্ঞ বেধে যায় একটা সময়। বিশৃঙ্খলা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে আসা নেতা-কর্মীদের যোগদান পর্বও নমো নমো করে সারতে হয়। এ বার সেই অপূর্ণতা ঘোচাতে ফের দলের চার ‘ওজনদার’ নেতাকে কলকাতার পথে নামাচ্ছে বিজেপি। আগামী ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে ‘বিবেকের ডাক’ কর্মসূচিতে শহরে মিছিলে হাঁটবেন তাঁরা।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গবাসীর উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখবেন। মোদীর বক্তব্য শোনার জন্য বুথ স্তরে জমায়েতের পরিকল্পনাও করেছে রাজ্য বিজেপি। তার আগে মোদীর ভার্চুয়াল বক্তব্যের প্রচার চালাতে ১২ জানুয়ারি থেকে ‘শ্রমদান’ নামে এক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এই কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব মূলত বিজেপি-র যুব মোর্চার উপরে। তারই অঙ্গ হিসেবে কলকাতার পথে শুভেন্দু-দিলীপ-মুকুল-কৈলাসরা হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি জানিয়েছেন, “১২ জানুয়ারি সকালে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি মূর্তির কাছ থেকে শুরু হয়ে একটি শোভাযাত্রা যাবে বিবেকানন্দ রোডে স্বামীজির বাড়ি পর্যন্ত।”
সৌমিত্র আরও জানিয়েছেন, ১২ জানুয়ারি কলকাতায় মিছিলের পরে জেলায় জেলায় ‘শ্রমদান’ কর্মসূচি শুরু হবে। তাতে বিভিন্ন ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধাশ্রম, অনাথ আশ্রমে যাবেন বিজেপি কর্মীরা। বস্তি এলাকা পরিষ্কারের কাজও করা হবে। সব মিলিয়ে এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় মাপের জনসংযোগের কাজ সেরে ফেলতে চায় রাজ্য বিজেপি। তবে মূল নজর থাকবে কলকাতায় ১২ জানুয়ারির মিছিল সফল করার দিকেই।
আরও পড়ুন: বাংলার জন্য মোদীর ভাষণ ২৩ জানুয়ারি, বুথ স্তরে জমায়েত চায় রাজ্য বিজেপি
শোভন-বৈশাখী গরহাজির থাকায় গত সোমবার কলকাতায় বিজেপি-র ব়্যালি কার্যত ফ্লপ-শো হয়ে যায়। এর মধ্যেই ফের শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আগামী সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় একটি মিছিলের উদ্যোগ নিয়েছে পদ্ম শিবির। তবে রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, দল বেশি নজর দিচ্ছে মঙ্গলবারের মিছিল সফল করার দিকে। এটাকে দলের সম্মান রক্ষার ‘সুযোগ’ বলেও মনে করা হচ্ছে।