—ফাইল চিত্র।
বিধাননগরের বিজে ব্লকের দুর্গাপুজো উদ্বোধনে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিও। আর সেই কারণেই ‘দলীয় রাজনীতির রং’ লাগার প্রশ্ন তুলে আপত্তি জানিয়েছেন পুজো কমিটির কেউ কেউ।
বিজেপি জানিয়েছে, কাল, মঙ্গলবার কলকাতা এসে বিধাননগরের একটি পুজোই উদ্বোধন করার কথা শাহের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে শাহের যে সূচি এসেছে, সেখানেও বিধাননগরের একটি পুজো উদ্বোধনের কথা আছে। জলঘোলার পরেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই শেষ পর্যন্ত পুজো উদ্বোধন করলে প্রতিবাদ জানিয়ে পুজো কমিটির কেউ কেউ পদত্যাগ করবেন, কেউ আবার বয়কট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিজে ব্লকের পুজোর সাংগঠনিক সভাপতি এবং বিজে ব্লক আবাসন কমিটির সভাপতি বিজেপি নেতা উমাশঙ্কর ঘোষ দস্তিদার। কিন্তু বিজে ব্লক পুজোর যুগ্ম সম্পাদক অনিন্দ্য সিংহ রায় রবিবার বলেন, ‘‘অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এলে তাঁকে স্বাগত। কিন্তু তিনি বিজেপি সভাপতি হিসাবে এলে আপত্তি থাকবে। পুজোকে দলীয় রাজনীতির মঞ্চে পরিণত করা যাবে না। উমাশঙ্করবাবু কমিটির কাউকে না জানিয়ে শাহকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। শাহ, তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী, পুজোর উদ্যোক্তা এবং ঘোষক ছাড়া আর কাউকে যাতে উদ্বোধনের মঞ্চে উঠতে না দেওয়া হয়, পুলিশ আধিকারিকদের সেই অনুরোধ জানিয়েছি।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দলের সভাপতি একই ব্যক্তি হওয়ায় তাঁদের ‘পৃথক’ করার কাজ বিজেপির পক্ষে কঠিন! যদিও ওই পুজোর স্যুভেনির কমিটির আহ্বায়ক সুদীপ দে-র দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাতে হলে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি দিতে হত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গোটা প্রক্রিয়াটাই হয়েছে বিজেপি দফতর মারফত।’’
বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘বাংলার কৃষ্টি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন দেখতে অনেকেই দেশ-বিদেশ থেকে আসেন। অমিত শাহও যেখানেই যাবেন, বাংলার কৃষ্টি এবং উন্নয়ন দেখতে পাবেন। বাংলা আতিথেয়তা জানে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির উন্মেষ ঘটুক, এ-ই চাই।’’
আর উমাশঙ্করবাবুর দাবি, ‘‘শাহের উদ্বোধনে আসা নিয়ে এক জন আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তার খাতিরে এবং প্রোটোকল বজায় রাখতে যা করা উচিত, তা-ই করা হয়েছে। তিনি মেনে নিয়েছেন।’’