—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি। সোমবার বিজেপির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, কলকাতার মানিকতলায় লড়বেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে। মতুয়া অধ্যুষিত উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিনয় বিশ্বাস। মতুয়াদের আধিক্য থাকা নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ আসনে পদ্মশিবির প্রার্থী করেছে মনোজকুমার বিশ্বাসকে। উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী করেছে মানসকুমার ঘোষকে।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ এবং রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী এবং মুকুটমণি অধিকারী। পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে এবং মুকুটমণিকে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী করে রাজ্যের শাসকদল। দু’জনেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। ফলে এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি দু’জনের কেউই। তবে লোকসভা ভোটে জিততে না পারলেও ‘দলবদলু’ দুই নেতার উপরেই বিধানসভা উপনির্বাচনে ভরসা রেখেছে তৃণমূল। ছেড়ে দেওয়া আসনে ফের প্রার্থী করা হয়েছে কৃষ্ণ এবং মুকুটমণিকে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। পরে তিনিও দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে বনগাঁ কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে হেরে যান তিনি। বিশ্বজিৎ বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ায় বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। সেখানে অবশ্য বিশ্বজিৎ নন, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর প্রার্থী হয়েছেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা, অধুনাপ্রয়াত সাধন পাণ্ডে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিন মানিকতলা বিধায়কহীন থাকলেও সেখানে উপনির্বাচন হয়নি। কারণ, গত বিধানসভায় এই কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে কলকাতা হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দাখিল করেছিলেন। সম্প্রতি সেই আইনি জটিলতা কেটে যায়। কল্যাণকেই মানিকতলায় প্রার্থী করেছে পদ্মশিবির। তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রয়াত সাধনের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে।