Mathurapur

মথুরাপুরে বাম ভোটেই ‘রামে’র বোর্ড

দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৫টি। তৃণমূল চারটিতে জয়ী হয়েছিল। বিজেপি জেতে ছ’টি আসনে, সিপিএম চারটি এবং নির্দল একটি আসনে জয়ী হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ০৭:০৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বহু টালবাহানার পরে মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে সিপিএম এবং নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গড়ল বিজেপিই। কয়েক জন বিরোধী প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল এখানে। পরে ফিরেও আসেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনে অংশ নেন বিরোধী ১১ জনই।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৫টি। তৃণমূল চারটিতে জয়ী হয়েছিল। বিজেপি জেতে ছ’টি আসনে, সিপিএম চারটি এবং নির্দল একটি আসনে জয়ী হয়। অভিযোগ, কলকাতার পঞ্চসায়রে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে ২৭ জুলাই রাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তিন বিজেপি ও এক সিপিএম সমর্থিত নির্দল সদস্যকে তৃণমূল
অপহরণ করে।

এ দিন ভোটাভুটিতে বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে অনুপকুমার মিস্ত্রির নাম প্রস্তাব করে। তাঁর সমর্থনে ১১টি ভোট পড়ে। ১১টি ভোট পেয়ে উপপ্রধান হন সিপিএমের সফিকুল ঘরামি। এই পঞ্চায়েতটি দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের দখলে ছিল। তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক
জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদারের বিরুদ্ধেই অপহরণের
অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

এ দিন বিজেপির মথুরাপুর সংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুব্রত হালদার বলেন, ‘‘আমরা চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গঠন করব। মডেল হিসেবে এই পঞ্চায়েতকে রাজ্যে তুলে ধরা হবে।’’

অপহরণের যে অভিযোগ বিরোধীরা তুলছে তা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সন্ত্রাস করলে পঞ্চায়েত দখলে নিতে পারতাম। কিন্তু ওখানে কোনও সন্ত্রাস হয়নি। নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল বিরোধীরা। অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়।’’

সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘অনেক টালবাহানার মধ্যে দিয়ে বোর্ড গঠন হয়েছে। তবে অপহরণের ঘটনার জেরে জনসমর্থন আরও বেড়ে গিয়েছে আমাদের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement