মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। ফাইল চিত্র।
নবান্ন অভিযানে কর্মীদের উপর পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ওই দিন কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার কলকাতায় এল বিজেপির সত্যতা যাচাইকারী কমিটি। নবান্নে অভিযানে আহত বিজেপিকর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন কমিটির সদস্যরা।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা বিজেপিকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এ বার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দল পাঠাল কেন্দ্র। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ ব্রজলাল, লোকসভার বিজেপি সাংসদ কর্নেল রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর, লোকসভার সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গি, রাজ্যসভা সাংসদ সমীর ওরাও এবং পঞ্জাবের বিজেপি নেতা সুনীল জাখর। রাজ্যে তাদের সহযোগিতা করবেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, দলের জাতীয় মুখপাত্র তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস আরকে হাণ্ডা, আইনি উপদেষ্টা কবীর শঙ্কর বসু। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদে লালবাজার অভিযানে নামে বিজেপির যুব মোর্চা। কলেজ স্ট্রিটের মুখেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের হাতে ছিল খেলনা বন্দুক।
অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের পুলিশ অনেক সংযত থেকেছে। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপিকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন অনেক পুলিশকর্মী। অভিযুক্তদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে পুলিশি নিগ্রহে অভিযুক্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।