BJP

দল নির্বাচনে অধিনায়কের ভূমিকা নিয়ে চর্চা

আগামী দিনে সেই দল পরিচালনায় অধিনায়ককে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে কি না, এখন থেকেই তা নিয়ে চর্চা চলছে দলের অন্দরে।

Advertisement

বিপ্রর্ষি চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৩৮
Share:

সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি বিধাননগরে বিজেপির বৈঠক হয়ে গিয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই স্থির হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির আগামী অধিনায়কের নাম। তার আগেই বুথ, মণ্ডল ও জেলা সভাপতি নির্বাচনের কাজ সারা হয়ে যেতে পারে। এখানেই প্রশ্ন, নিজের দল নির্বাচনে কি কোনও ভূমিকা থাকবে না নতুন অধিনায়কের? সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে সেই দল পরিচালনায় অধিনায়ককে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে কি না, এখন থেকেই তা নিয়ে চর্চা চলছে দলের অন্দরে।

Advertisement

সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি বিধাননগরে বিজেপির বৈঠক হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ, সোমবার থেকে বুধবার ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলবে। প্রতিটি মণ্ডল থেকে সম্ভাব্য পাঁচ জনের নাম জেলায় জমা পড়বে। জেলা বাছাই করে তিন জনের নাম রাজ্যে পাঠাবে। আগামী ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য এক জনকে বাছাই করে মণ্ডল সভাপতির ঘোষণা করবে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বর্তমান মণ্ডল সভাপতির সঙ্গে প্রাক্তনের মতামত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এমনকি, জেলা স্তরের ছাঁকনিতে জেলা সভাপতির সঙ্গে মতামত থাকবে স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদদের।

এর আগেই অবশ্য বুথ কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ১৬ হাজার বুথে কমিটি গঠন করা গিয়েছে। সভাপতি বাদ দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে ১১ জনকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। তবে সবার আগে স্বচ্ছতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। এই সূত্রেই সংখ্যালঘু এলাকায় বুথ কমিটি তৈরির চেষ্টা করে শক্তি ‘অপচয়’ না-করার পরামর্শও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

সূত্রের খবর, ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা সভাপতি নির্বাচনের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অন্তত ১২টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি বদল হতে পারে। এর পরে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘোষিত হতে পারে রাজ্য সভাপতির নাম।

বিজেপির মতো সভাপতি-কেন্দ্রিক দলে রাজ্য সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে তাঁর মতো করে সংগঠন সাজিয়ে নেন। তাতে আগামী তিন বছর তাঁর দল পরিচালনায় সুবিধা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘটছে উল্টো। বুথ থেকে জেলা কমিটি গঠনের পরে রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হতে চলেছে। ফলে, নতুন সভাপতি দল গঠনের ক্ষেত্রে কতটা মতামত দিতে পারবেন এবং দল পরিচালনায় তাঁর পথ কতটা মসৃণ হবে, দলের অন্দরে সেই প্রশ্নে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, “আমাদের দল তো এখন শিবির বিভক্ত। যদি দেখা যায়, এক শিবিরের নেতারা সংগঠনিক নির্বাচন করলেন। উল্টো শিবিরের নেতা সভাপতি হলেন! তা হলে তো দল পরিচালনা করতে প্রতি পদে বাধা পেতে হবে।”

যদিও সেই আশঙ্কা উড়িয়ে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “সকলের মতামতের ভিত্তিতেই সাংগঠনিক নির্বাচন হচ্ছে। ফলে, এখানে মতের অমিল, ভিন্নমত, অসুবিধার কোনও জায়গা নেই।”

সংগঠন নিয়ে সাম্প্রতিক বৈঠকেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২৫ জানুয়ারির পরে আর সদস্য সংগ্রহ করা যাবে না। বৈঠকে পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ৫০ লক্ষের উপরে প্রাথমিক সদস্য ও ৪৬ হাজারের কাছাকাছি ‘সক্রিয়’ সদস্য করা গিয়েছে।

সদস্য সংগ্রহের শেষে বিজেপির একাংশের দাবি, ৬০ লক্ষের বেশি সদস্য সংগ্রহ করে ‘ফার্স্ট ডিভিশন’ পাওয়া গিয়েছে। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, “সংখ্যা বলব না। তবে আমাদের ৫০ লক্ষের মাপকাঠি আমরা পেরিয়ে গিয়েছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement