ফাইল চিত্র।
বিধায়কদের শপথ হয়েছে একমাসেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও বিজেপির প্রতিনিধিদের নাম না পাওয়ায় আটকে আছে বিধানসভার কমিটি গঠনের কাজ। ফলে নিয়ম মতো কমিটির কাজ শুরু করতে পারছে না বিধানসভার সচিবালয়। পাশাপাশি কমিটিগুলি কাজ শুরু না করলে আটকে যেতে বিধায়কদের মাসিকভাতাও।
বিধায়কদের প্রতিনিধিত্বে রাজ্য বিধানসভায় কাজ করে ৪১ টি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। তার মধ্যে ২৬ টি স্ট্যান্ডিং কমিটি ও ১৫ টি হাউস কমিটির সবকটিতেই মিলিয়ে মিশিয়ে থাকেন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কেরা। এখনও পর্যন্ত মাত্র দুটি কমিটির জন্য দলীয় প্রতিনিধিদের নাম দিলেও ৩৯ কমিটিতে দলের বিধায়ক-প্রতিনিধিদের নাম পাঠায়নি বিজেপি। ফলে কোনও কমিটিই ঘোষণা করা হয়নি। আটকে পাবলিক অ্যাকাউন্টসের মতো গুরুত্বপূর্ণ কমিটিও। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিধানসভায় বিরোধীদের ভূমিকা শাসকের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে পরিষদীয় কাজের মূল উদ্দেশ্যই বাধা পায়।’’
ভোটের পর থেকে এখনও কিছুটা এলোমেলোই আছে বিরোধী দল বিজেপি। সেইসঙ্গে দলে ভাঙনের আশঙ্কায় পরিষদীয় কাজে অংশ নিতে পারেনি বিজেপি। এখনও পর্যন্ত মাত্র ‘রুলস’ ও ‘প্রিভিলেজ’ কমিটির জন্য দলীয় প্রতিনিধিদের নাম পাঠানো হয়েছে। বারবার চাওয়া সত্ত্বেও কমিটির জন্য দলের বিধায়কদের নাম পাঠাতে পারেনি তারা। বিরোধী দলনেতা বা তাদের মুখ্য সচেতক পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তা সত্বেও কেন কমিটি গঠনে অংশ নিতে পারেননি? বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘একটু গুছিয়ে নিয়েই আমরা কমিটিগুলির জন্য নাম জন্য চূড়ান্ত করে ফেলব।’’
বিধানসভার স্ট্যান্ডিং ও হাউস কমিটিগুলি একাধিক দফতরের কাজকর্ম পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকে। স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলি সরকারি কাজে নজরদারি করে এবং তার সামগ্রিক উন্নতিতে প্রয়োজন মতো পরামর্শও দেয়। যতদিন পর্যন্ত এই কমিটি তৈরি না হচ্ছে ততদিন সে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।