প্রতীকী ছবি।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ‘পশ্চিমবঙ্গ’ নাম পরিবর্তনের বিরোধী এবং তাঁরা এই বিরোধিতা চালিয়ে যাবেন বলে আজ জানিয়ে দিলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
রাজ্য বিধানসভায় ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব করেছিল শাসক তৃণমূল। সেই প্রস্তাব সমর্থন করে কংগ্রেস ও সিপিএম। সে সময়েই ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁদের সেই অবস্থান আজও পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়ে দেন দিলীপবাবু। এই বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘‘পূর্ববঙ্গের সঙ্গে পার্থক্য করতেই পশ্চিমবঙ্গ নামকরণ করা হয়েছিল। ওই নামকরণের সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জড়িত রয়েছেন। তাই দল কোনও ভাবেই রাজ্যের নাম পাল্টানোকে সমর্থন করে না।’’
রাজ্যের নামকরণ সংক্রান্ত বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত কাল। সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে লিখিত জবাবে বলা হয় এখনই পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবছে না কেন্দ্র। কেন্দ্রের ওই মনোভাব সামনে আসতেই সক্রিয় হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল রাতেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তিনি অনুরোধ করেন, বাংলার মানুষের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হোক। আজ নামকরণ প্রশ্নে আলোচনার জন্য রাজ্যসভায় প্রস্তাব দেন তৃণমূল সাংসদ মণীশ গুপ্ত। তবে তা গৃহীত হয়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে বাজেটের পরে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দাবি জানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এরই মধ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ওই ধরনের কোনও প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে আসেনি।’’ কিন্তু বাস্তবে ২০১৬ সালে রাজ্য বিধানসভায় নাম বদলের প্রস্তাব পাশ হতেই তা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত আড়াই বছরের বেশি সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেই পড়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘উনি সদ্য
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রশিক্ষণে রয়েছেন তো, তাই জানেন না!’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।