গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে তৃণমূলের আইনি সেলের সদস্যদের পাঠানো চিঠিকে হাতিয়ার করে এ বার ‘টুইট-যুদ্ধ’ শুরু করল বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ দলের অনেক নেতা-নেত্রী বৃহস্পতিবার ওই চিঠির বক্তব্য তুলে ধরে কল্যাণের বিরুদ্ধে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন।
শুভেন্দু তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘সংবিধানের শীর্ষ পদাধিকারিদের বিরুদ্ধে অসংসদীয় ভাষা! বারের এক জন প্রবীণ সদস্যের কাছে আইন এবং বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে মর্যাদ সূচক মন্তব্য প্রত্যাশিত। কিন্তু শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (কল্যাণ) তা উপেক্ষা করেছেন। রাজ্যপাল সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেছেন।’
অন্য একটি টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘তৃণমূলের ১৫৭ জন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন।’
অন্য দিকে, রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল টুইটারে লিখেছেন, ‘মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার দলের এক সাংসদের বিরুদ্ধে দলের ১৫৭ জন আইনজীবীর অভিযোগ তিনি মহিলাদের থেকে অযাচিত সুবিধা নিয়েছেন। আপনি এক জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাই আমরা তদন্তের আশায় রয়েছি।’
তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণের বিরুদ্ধে সরকারি পদে থেকে দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি স্বজনপোষণ এমনকি মহিলা আইনজীবীদের ‘বিশেষ অনুগ্রহের’ বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের আইনজীবী সেলের ১৫৭ জন সদস্য।
কল্যাণের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগেরও অভিযোগও তোলা হয়েছে চিঠিতে। সুপ্রিম কোর্টেক প্রধান বিচারপতির কাছে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা। চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচি দু’মাস বন্ধ রাখা নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলার পরেই দলের অন্দরে লাগাতার নিশানা হয়ে চলেছেন কল্যাণ।