দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
ইসলামপুরের ঘটনায় সিবিআই চদন্ত চাইল বিজেপি। কংগ্রেস এবং সিপিএম চাইল বিচার বিভাগীয় তদন্ত।
শুক্রবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, বিষয়টি সম্বন্ধে তিনি কিছুই জানতেন না। তাহলে উনি করেন কী? শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ওঁর তো একটা দায়িত্ব আছে!’’ এ দিন এবিভিপি-ও আরও এক ধাপ এগিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে।
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওরা ধরা পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি যে পরিকল্পনামাফিক হয়েছে, তা স্পষ্ট। দুর্ভাগ্যবশত যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা কেউ ওই স্কুলের সঙ্গে জড়িত নন। তাছাড়া গ্রামবাসীদের ওখানে জড়ো করল কে? এখন নিজেদের পাপ ঢেকে নজর ঘোরাতে ওরা সিবিআই তদন্তের কথা বলছে।’’
ইসলামপুরের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘রাজ্যে পুলিশ রাজ চলছে। শিক্ষক চেয়ে আন্দোলন করে নিরীহ ছাত্রদের গুলি খেতে হয়েছে।’’ এ দিন রাতেই ইসলামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন সুজনবাবু এবং অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বাম বিধায়কদের একটি দল।
সদ্য প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এ দিন বহরমপুরে একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করেন। অন্য দিকে নব নিযুক্ত সভাপতি সোমেন মিত্রের বক্তব্য, ‘‘পরিবর্তন আনার সময় আমাদের অবস্থান ছিল শিক্ষাক্ষেত্রে পুলিশ ঢুকবে না। এমনই পরিস্থিতি হয়েছে যে, পুলিশ স্কুলে ঢুকে গুলি চালিয়ে ছাত্র মারছে।’’
পার্থবাবু অবশ্য বিজেপির পাশাপাশি এ দিন এক হাত নিয়েছেন সিপিএমকেও। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সিপিএম পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাওয়া তুলতে আরএসএস-এবিভিপির বিরুদ্ধে কথা না বলে, তাদের কাজকে ধুঁয়ো দিচ্ছে।’’