গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
বিজেপি প্রতিনিধিদল যখন পৌঁছল কুমারগঞ্জে, তত ক্ষণে বালুরঘাটের পথে রওনা দিয়েছেন নির্যাতিতার পরিজনেরা। শনিবার সকালে তা ঘিরে সরগরম হল জেলার রাজনীতি।
ওই পরিবারের কয়েক জন প্রতিবেশী বিজেপি প্রতিনিধিদের জানান, তাঁরা আসছেন শুনে শুক্রবার রাতে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের জেলাশাসকের দফতরে নিয়ে গিয়ে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাঁদের দাবি, শনিবার ভোরেই পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীর পরিজনদের বালুরঘাটে নিয়ে গিয়েছে।
এ দিন বিজেপি প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার।
আরও পড়ুন: ‘গো ব্যাক মোদী, গো ব্যাক মমতা’, স্লোগান মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও
নির্যাতিতার বাড়িতে কাউকে না পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তোলেন লকেট। স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার কাকিমা লকেটকে জানান, সকালেই পুলিশের গাড়িতে তাঁদের কুমারগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পরেই লকেটরা কুমারগঞ্জ থানায় যান। বিজেপির অভিযোগ, প্রতিনিধিদলকে থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরিজনদের খোঁজ তারা জানে না বলে দাবি করে পুলিশ। বিজেপির দাবি অনুযায়ী নিখোঁজ ডায়েরিও নিতে অস্বীকার করে। ঘণ্টাখানেক এ নিয়ে বচসার পরে পুলিশ নিখোঁজ ডায়েরি নেয়।
লকেট পরে বলেন, ‘‘তৃণমূল এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাতের অন্ধকারে পুলিশকে দিয়ে পরিজনদের তুলে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘ওই পরিবার জেলাশাসকের দফতরে গিয়েছিলেন।’’
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নির্যাতিতার পরিবার এ দিন জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছনোর পরে তাঁদের হাতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল, তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ। অর্পিতা বলেন, ‘‘জেলার মানুষ জানেন, ওই পরিবার জেলাশাসকের অফিসে ছিলেন। তার পরেও এই অভিযোগ হাস্যকর।’’