—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার-পর্বে নানা জায়গায় বিরোধী প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানাল বিজেপি ও সিপিএম। আদালতের নির্দেশের পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করেছে রাজ্যে। কিন্তু ঘটনা ঘটলে কমিশনের পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে সমস্যা হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কারণ, কোথায় কে পর্যবেক্ষক এবং তাঁদের যোগাযোগের নম্বর ঠিক ভাবে জানাই যাচ্ছে না। কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, পর্যবেক্ষকদের তালিকা ও যোগাযোগের নম্বর কমিশনের সাইটে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের জেলা পরিষদে বিজেপি প্রার্থী পিঙ্কি হালদারকে নিয়ে মঙ্গলবার কমিশনে দফতরে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির অন্য নেতারা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হার কাছে তাঁরা অভিযোগ করেন, পিঙ্কিকে দু’দিন আগে ডায়মন্ড হারবারে গুন্ডাবাহিনী ‘ভয়’ দেখিয়ে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটতে বাধ্য করেছিল। মিছিলে হাঁটার একটি ভিডিয়ো ক্লিপিং ল্যাপটপের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকেও দেখিয়েছেন শুভেন্দু। পিঙ্কিও এ দিন দাবি করেছেন, ‘‘আমাকে জোর করে ভয় দেখিয়ে মিছিলে হাঁটতে বলা হয়। আমাকে মিথ্যা কথা বলিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ সাঁকরাইলের ওসি এক বিজেপি প্রার্থীকে চড় মেরেছিলেন বলেও কমিশনে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও পুলিশ আধিকারিকদের জাত বা ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করে শুভেন্দুরা বিভাজনের তাস খেলছেন। কুণালের বক্তব্য, ‘‘যে কোনও হিংসাই নিন্দনীয়। এত আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিয়েছে, অধিকাংশ অভিযোগই ভিত্তিহীন। তৃণমূলের দিকে বারবার আঙুল তোলার আগে নিজেদের আচরণ এবং প্ররোচনার দিকে নজর দিন।’’
নির্বাচন কমিশনারের কাছে এ দিন শুভেন্দুর দাবি ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের পর্যবেক্ষকদের নাম ও নম্বর সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হোক। তাঁর দাবি, কমিশনার বলেছেন যে, বিজ্ঞাপন দেযওয়ার মতো পয়সা নেই। সিপিএমের শমীক লাহিড়ী, কল্লোল মজুমদার, পলাশ দাস, সুখেন্দু পানিগ্রাহীরাও এ দিন কমিশনে গিয়েছিলেন ৭ দফা দাবি নিয়ে। শমীকের বক্তব্য, কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে, কাদের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে, এ সব কোনও ব্যাপারেই স্পষ্ট কোনও দিশা নেই। পাশাপাশিই তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, রাজ্যের নানা প্রান্তে যে ভাবে লোডশেডিং চলছে, তার প্রেক্ষিতে ভোটের বুথে ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাট’ আটকাতে এখন থেকে তৎপরতা নেওয়া হোক।