বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির সভা। —নিজস্ব চিত্র।
চারতলা বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় পথে নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যেরা। ‘বেআইনি’ নির্মাণের প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেস, নির্মাণ ব্যবসায়ী এবং পুলিশের যোগসাজশের অভিযোগও করেছেন শুভেন্দু। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য অভিযোগে আমল দেয়নি।
নেতাজিনগরে ওই বাড়িটি হেলে যাওয়ার ঘটনার সূত্রে বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে শনিবার বাঘাযতীনে মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা। ছিলেন শুভেন্দু, দলের দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য, সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী-সহ অন্যেরা। সংশ্লিষ্ট বাড়িটি পরিদর্শন করে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “বৃহত্তর কলকাতার মধ্যে রয়েছে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি, যার চরিত্র বদল করা যায় না। তৃণমূল নেতারা সেটাই করছেন।” তাঁর সংযোজন, “তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধির সঙ্গে আইসি চিটেগুড়ের মতো লেগে থাকেন! তাঁদের যোগসাজশে বেআইনি নির্মাণ হয়। প্রোমোটারের কাজ তৃণমূলের হয়ে টাকা, ভোট জোগাড় করা। পুরসভা যাচাই না-করে অনুমোদন দিচ্ছে।” শুভেন্দুর আরও দাবি, ২০১৩-১৪ সালে কলকাতা পুরসভার ক্ষমতায় তৃণমূল থাকার সময়েই সংশ্লিষ্ট বহুতলটি অনুমোদন পেয়েছিল।
বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে এবং বাড়িটির ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসন চেয়ে নেতাজিনগর এলাকা ও থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। হয়েছে মিছিলও। কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠি থানায় জমা দিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস নেতারা। স্থানীয় ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাও বলেছেন তাঁরা। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়া থেকে এই ঘটনা, নানা দৃষ্টান্ত দিয়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদের অভিযোগ, “জলাজমি ভরাট করে বেআইনি বাড়ি হচ্ছে। যাঁরা তা করছেন, সবাই তৃণমূলের।” বিক্ষোভে ছিলেন কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্ররাজ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যেরা।
বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, “সিপিএমের আমলে শিবালিক আবাসন, বিজেপি ও কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যে বাড়ি, সেতু ভেঙে পড়ে কী ভাবে? প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।”