গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
‘‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন।’’ লোকসভায় শপথ নেওয়ার সময় এই ভাবেই বলেছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। লোকসভার ওয়েবসাইটে যে তাঁর স্বামীর নাম নিখিল জৈন লেখা রয়েছে তা বুধবারই জানিয়েছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। এ বার শপথ গ্রহণের ভিডিও নিয়ে আসরে বিজেপি। দলের আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালব্য বৃহস্পতিবার সেই ভিডিও-সহ একটি টুইটে বলেছেন, ‘তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রুহি জৈনের ব্যক্তিগত জীবন, তিনি কাকে বিয়ে করেছেন, কার সঙ্গে লিভ-ইন করছেন সেটা নিয়ে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী তিনি নিখিল জৈনকে বিবাহ করেছেন। তবে কি তিনি সংসদে অসত্য ভাষণ দিয়েছিলেন?’
প্রসঙ্গত বুধবার বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান বুধবার দুপুরে একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘নিখিলের সঙ্গে আমি সহবাস করেছি। বিয়ে নয়। ফলে বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’ আনন্দবাজার ডিজিটালে সেই খবর প্রকাশের পরেই হইচই শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পরে দেখা যায়, নুসরত নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন করেছেন বলে দাবি করলেও সরকারি নথিতে তিনি বিবাহিতা এবং স্বামীর নাম নিখিল জৈন। লোকসভার ওয়েবসাইটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদদের যে তালিকা তাতে নুসরতের নামে ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে যাবতীয় তথ্য। সেখানে স্পষ্ট লেখা নুসরত বিবাহিত। তিনি বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালের ১৯ জুন। স্বামীর নাম নিখিল জৈন।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কোনও জনপ্রতিনিধি সংসদে অসত্য তথ্য দিলে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা যায়। নুসরতের বিরুদ্ধেও কি এমন কিছু ভাবছে বিজেপি? এমন প্রশ্নের উত্তরে অমিত বলেন, ‘‘এখন সংসদ বন্ধ রয়েছে। সংসদ চালু হলে আমরা কী করব সেটা জানাব।’’ তবে বিজেপি যে বিষয়টি থেকে রাজনৈতিক চাপও তৈরি করতে চাইছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে অমিতের টুইটেই।
প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পরে সঙ্গে সঙ্গেই শপথ নেননি নুসরত। ২০১৯ সালের ১৯ জুন খুব কম অতিথি নিয়েই তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল নুসরত ও নিখিলের। সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। ফলে বেশ কিছুটা পরে ২৫ জুন মিমি ও নুসরত লোকসভায় শপথ নেন।