Farm Laws

নতুন কৃষি আইনের সমর্থনে ‘শোনো চাষি ভাই’ বিজেপির

কাটোয়া শহরে এ দিন ‘চায়ে পে চর্চা’য় হাজির হয়ে মেনন জানান, ওই এলাকার জগদানন্দপুর গ্রামে চাষিদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এক মুঠো করে  চাল-আনাজ সংগ্রহ করবেন নড্ডা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৪১
Share:

বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। ফাইল চিত্র।

এ রাজ্যে নতুন কৃষি আইনের সমর্থনে ‘শোনো চাষিভাই’ কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। আগামী ৯ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় আসবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সে দিন থেকে ওই কর্মসূচির সূচনা হবে বলে বুধবার জানান রাজ্যে বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন।

Advertisement

কাটোয়া শহরে এ দিন ‘চায়ে পে চর্চা’য় হাজির হয়ে মেনন জানান, ওই এলাকার জগদানন্দপুর গ্রামে চাষিদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এক মুঠো করে চাল-আনাজ সংগ্রহ করবেন নড্ডা। চাষিদের বোঝানো হবে, কেন্দ্রীয় নীতির সুফল। দুপুরের খাওয়াদাওয়াও হবে চাষির বাড়িতে। যদিও ওই চাল-আনাজ নিয়ে কী করা হবে বা কর্মসূচির বিশদ খোলসা করেননি মেনন। তবে কেন্দ্র সরকার চাষিদের জন্য কী-কী সুবিধা দিচ্ছে তা জানানোর পাশাপাশি, ‘পিএম কিসান’ প্রকল্প এ রাজ্যে চালু করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।

মেনন বলেন, ‘‘কৃষকদের স্বার্থেই কৃষি আইন। অথচ, কিছু মানুষ কিছু কৃষককে লাগাতার ভুল বোঝাচ্ছেন। নড্ডাজি ৯ জানুয়ারি কাটোয়ার মুস্থুলিতে সভা করতে আসছেন। সে দিনই রাজ্য জুড়ে ‘শোনো চাষিভাই’ কর্মসূচির সূচনা হবে।’’ বিজেপি সূত্রের দাবি, এক মাস ধরে রাজ্যের সব জেলায় ওই কর্মসূচি চলবে।

Advertisement

বামপন্থী কৃষক সংগঠন ‘কৃষকসভা’র রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেন, “কৃষকদের বছরে ছ’হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র সরকার। পাঁচ জনের পরিবার হলে, দিনে তিন টাকা করে মিলছে। এটাই কি কৃষকদের সুরক্ষার নীতি! নির্বাচনের আগে যত বাজে কথা!” তৃণমূলের কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্নার মন্তব্য, ‘‘দিল্লিতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কৃষকের মৃত্যু হচ্ছে। আর ভোটের আগে চমক দিতে কৃষকের সুরক্ষার কথা বলা হচ্ছে!’’ মেননের অবশ্য দাবি, দিল্লিতে চাষিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সমস্যা মিটে যাবে।

কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি এর আগে চাকরি দেওয়া নিয়ে মানুষকে ভাঁওতা দিয়েছে। বাংলায় এসে চাষিদের বাড়িতে ঢুকে এক মুঠো চাল-আনাজ নিতে যাওয়ার কর্মসূচিও ভাঁওতা। প্রয়োজনে আমরাও বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষকে তা বোঝাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement